অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিশানা করা সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। একই সঙ্গে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পথ সুগম করতে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনটি।
আজ বুধবার লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংগঠনটির আঞ্চলিক গবেষক রিহাব মাহমুর এ আহ্বান জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচার চালানোর অভিযোগে আনিস আলমগীর ও আরও চারজনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করার পর ১৫ ডিসেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে তাঁকে আটক করা হয়।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে রিহাব মাহমুর বলেন, ‘আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তার বর্তমানে নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের প্রতি সমর্থন রয়েছে—এমন ধারণার ভিত্তিতে ব্যক্তিদের নিশানা করার যে উদ্বেগজনক প্রবণতা চলছে, তারই ধারাবাহিকতা। নিজস্ব অভিমত বা মতামত প্রকাশকারীদের কণ্ঠরোধ করতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার না করে বরং অন্তর্বর্তী সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বাক্স্বাধীনতা এবং সংগঠন করার স্বাধীনতার পথ সুগম করা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাক্কালে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের এই আঞ্চলিক গবেষক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই জাতিসংঘের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার–সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক চুক্তির (আইসিসিপিআর) প্রতি তাদের দায়বদ্ধতাকে সম্মান জানাতে হবে এবং অবিলম্বে আনিস আলমগীরকে মুক্তি দিতে হবে।’
একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আনিস আলমগীর আদালতে বলেছেন, ‘আমি একজন সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাবানদের প্রশ্ন করি। গত দুই দশক ধরে আমি এটাই করে আসছি। কারও কাছে মাথা নত করা আমার কাজ নয়।’
গত রোববার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই দিনই পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশীতা ইসলাম তাঁর পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।