ফুলপরীকে ছাত্রলীগের নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নেত্রীদের দ্বারা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুনকে লাঞ্ছনা, অপমান ও যৌন হয়রানির ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। একই সঙ্গে তাঁরা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনের একচ্ছত্র আধিপত্য এবং ভয়ের সংস্কৃতি বিদ্যমান।

আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি পাঠিয়ে তাঁরা এ নিন্দা জানান। বিশিষ্টজনেরা বিবৃতিতে বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী, তাবাসসুম ইসলাম ও তাঁদের সহযোগীরা যে নির্যাতন করেছেন, সেই ঘটনাকে হালকা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ থেকে যথাযথ সহায়তা পাননি ফুলপরী। বরং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্তের নামে উল্টো ফুলপরীকে হয়রানি করছে। এমনকি বিষয়টিতে শিক্ষামন্ত্রীর কোনো বক্তব্য না আসারও সমালোচনা করা হয়। তবে সাহস করে নির্যাতনের কথা বলার জন্য ফুলপরী ও তাঁর পরিবারকে শ্রদ্ধা জানানো হয় বিবৃতিতে।  
বিবৃতিদাতারা জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ঘটে যাওয়া এসব সমস্যা ব্যক্তিগত নয়, সমগ্র ব্যবস্থার।

আরও পড়ুন

বিবৃতিদাতারা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, কাজলী শেহরীন ইসলাম, মার্জিয়া রহমান ও সামিনা লুৎফা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মির্জা তাসলিমা সুলতানা, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, আদিবাসী অধিকার সুরক্ষাকর্মী চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রাণী য়েন য়েন, ভারতের জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক নাজনীন শিফা, মানবাধিকারকর্মী ও গবেষক রোজীনা বেগম, নৃবিজ্ঞানী ও গবেষক নাসরিন খন্দকার, গবেষক ও অধিকারকর্মী দিলশানা পারুল, ইলিরা দেওয়ান ও মারজিয়া প্রভা, চিকিৎসক সাদিয়া চৌধুরী, নৃবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসরিন সিরাজ, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান ও আলোকচিত্রী তাসলিমা আখতার, নারী সংহতির সভাপতি শ্যামলী শীল, নোয়াখালী নারী অধিকার জোটের সভাপতি লায়লা পারভীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল ও কলেজের শিক্ষক শিল্পী বড়ুয়া, আলোকচিত্রী জান্নাতুল মাওয়া,  লেখক ও নৃবিজ্ঞানী সায়েমা খাতুন, লেখক তাহেরা বেগম জলি, যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সাদাফ নূর, কানাডার ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক হানা শামস আহমেদ, আইনজীবী সাদিয়া আরমান এবং সাংবাদিক ও গবেষক সায়দিয়া গুলরুখ।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন