মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী ৬ দিন, তাঁর স্বামী ৩ দিনের রিমান্ডে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার গৃহকর্মী আয়েশার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আর তাঁর স্বামী রাব্বি শিকদারের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাইয়ূম হোসাইন নয়ন জানান, আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ওসমান মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষ রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করে। আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত আয়েশার ৬ দিন, তাঁর স্বামী রাব্বির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মোহাম্মদপুরে মা লায়লা আফরোজা (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা নাওয়াল বিনতে আজিজকে (১৫) হত্যার ঘটনা ঘটে গত সোমবার সকালে। এ ঘটনায় সেদিন রাতে গৃহকর্মীকে আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা হয়। মামলার বাদী লায়লার স্বামী আ জ ম আজিজুল ইসলাম।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সোমবার সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। হত্যাকাণ্ডের মাত্র চার দিন আগে বাসাটিতে গৃহকর্মীর কাজ নিয়েছিলেন ওই নারী। প্রতিদিনই তিনি বোরকা পরে নয়তো মুখ ঢেকে বাসায় আসা-যাওয়া করেন।
ভবনটির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ঘটনার দিন ওই গৃহকর্মী বোরকা পরে ভেতরে ঢোকেন। আর বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর পরনে ছিল নিহত নাফিসার স্কুলড্রেস।
গতকাল বুধবার ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা থেকে গৃহকর্মী আয়েশা ও তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, চুরি করে পালানোর সময় গৃহকর্মী আয়েশাকে পেছন থেকে ধরে ফেলেন গৃহকর্ত্রী লায়লা। এ সময় তিনি আয়েশাকে পুলিশে দেওয়ার কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লায়লাকে ছুরিকাঘাত করেন আয়েশা। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে নাফিসাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। দুজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যার পর বাথরুমে গিয়ে গোসল করেন আয়েশা। এরপর নাফিসার স্কুলড্রেস পরে পালিয়ে যান।