মহাসড়কে নছিমন-করিমন: হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নে আইনি নোটিশ

রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলছে নছিমন-করিমনফাইল ছবি: প্রথম আলো

সড়ক ও মহাসড়কে নছিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সাত দিন সময় দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি এবং ১০ জেলার পুলিশ সুপার বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জেলাগুলো হলো যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, নড়াইল, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, মাগুরা ও বাগেরহাট।

মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে আজ বুধবার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ ডাকযোগে নোটিশটি পাঠান।

এর আগে ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর ‘মহাসড়কে দুর্ঘটনার কারণ অবৈধ যান নছিমন, করিমন, ভটভটি’ এবং ২০১৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ‘বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬, আহত ৫৭’ শিরোনামে জাতীয় দৈনিকে দুটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে জনস্বার্থে এইচআরপিবির পক্ষে একটি রিট করা হয়। রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি হাইকোর্ট কয়েক দফা নির্দেশনাসহ রায় দেন।

রায়ে ওই ১০টি জেলার সড়ক-মহাসড়কে নছিমন-করিমন-ভটভটির মতো বেআইনি ও অনুপযোগী যান চলাচল বন্ধ করতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ডিআইজি (হাইওয়ে) ও ১০ জেলার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। মহাসড়কে চলছে এমন নছিমন-করিমন-ভটভটি পাওয়া গেলে সেটির মালিক ও চালকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। বিষয়টি চলমান তদারকিতে থাকবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

নোটিশের বিষয়ে মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক-মহাসড়কে নছিমন, করিমন ও ভটভটি চলছে এবং প্রায়ই দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাচ্ছে বলে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ এসেছে। তাই হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি এবং যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, নড়াইল, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, মাগুরা ও বাগেরহাটের পুলিশ সুপার বরাবরে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে সাত দিন সময় দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। রায়ের নির্দেশনা অনুসারে নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানিয়ে হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে আদালত অবমাননার আবেদন দায়ের করা হবে।