ইউএনওকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে বেড়ার মেয়র বরখাস্ত

আব্দুল বাতেন

পাবনার বেড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পৌর মেয়র আব্দুল বাতেনকে মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে সরকার। এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

অভিযোগ ওঠে, মেয়র আগের দিন সোমবার উপজেলা পরিষদ সম্মেলনকক্ষে মাসিক সভা চলাকালে ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকীকে লাঞ্ছিত এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও ভয়ভীতি দেখান।

জানা গেছে, এ ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে ইউএনও বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানান। এরপর জেলা প্রশাসক সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেয়। তাতে মেয়রের এই কর্মকাণ্ডকে অসদাচরণের শামিল বলে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে বলেন জেলা প্রশাসক।

এরই ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিল স্থানীয় সরকার বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এই অপরাধ স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন অনুযায়ী মেয়রের পদ থেকে অপসারণযোগ্য অপরাধ। পৌর মেয়রের এই কাজ পৌর পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বলে মনে করে সরকার। এ জন্য মেয়র আব্দুল বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

আবদুল বাতেন বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও পাবনা-১ আসনের সাংসদ শামসুল হকের ভাই। টানা ২১ বছর বেড়া পৌরসভার মেয়র পদে রয়েছেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে প্রায় তিন মাস আগে জেলা আওয়ামী লীগ তাঁকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরবাড়ি ঘাট ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ও কাজিরহাট ঘাট ৭২ লাখ টাকায় ইজারা হয়। ফলে ঘাটটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েই এই বিরোধ তৈরি হয়। বেড়া উপজেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত ঘাট দুটি ইজারার বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেন। কিন্তু ইউএনও স্বাক্ষর না করায় মেয়র ক্ষিপ্ত হন। তিনি চরম উত্তেজিত হয়ে অকথ্য ভাষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে চেয়ার থেকে উঠে ইউএনওর ওপর চড়াও হন। পরে সভায় উপস্থিত সদস্যরা তাঁকে শান্ত করেন।

আরও পড়ুন