কোন গাড়ি কিসে চলে, তার জরিপ চালাতে বলল সংসদীয় কমিটি

ছবি: প্রথম আলো

গণপরিবহনের কোনটি কোন জ্বালানিতে চলছে, তা জানতে চায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ-সংক্রান্ত প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত বের করার জন্য মন্ত্রণালয়কে একটি জরিপ করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।

চলতি মাসের শুরুর দিকে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। সিএনজিচালিত পরিবহনের জন্য ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি কার্যকর না হলেও, সেসব গণপরিবহনেও বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।  

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও পরিবহনভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনা হয়। এতে কমিটির একজন সদস্য বলেন, অনেক ক্ষেত্রে পরিবহনের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকেরা যাত্রীদের জিম্মি করে ভাড়া নিয়ে তাঁদের দাবি আদায় করেন। ডিজেলের দাম বাড়ানোর পর অনেক ক্ষেত্রে সিএনজিচালিত বাসের ভাড়াও বেশি নেওয়া হচ্ছে। কতটি গণপরিবহন সিএনজিতে চলে, কতটি ডিজেলে চলে বা অন্যান্য যানবাহন কতটি পেট্রল ও অকটেনে চলে, তার সঠিক একটি পরিসংখ্যান থাকা উচিত। জবাবে একজন কর্মকর্তা বলেন, বিআরটিএর কাছে এ-সংক্রান্ত পরিসংখ্যান থাকে। গাড়ির নিবন্ধনের সময় এটি উল্লেখ করতে হয়। তবে অনেকে পরবর্তী সময়ে গাড়ি রূপান্তরিত করে সিএনজিতে চালান, কিন্তু সে তথ্য জানানো হয় না। এই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদীয় কমিটি গণপরিবহনে কোন জ্বালানি কী পরিমাণে ব্যবহৃত হয়, তার একটি সঠিক হিসাব বের করতে জরিপ চালানোর সুপারিশ করে।

আরও পড়ুন

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন জানায়, দেশের চাহিদা পূরণের জন্য তারা সৌদি আরবের সৌদি অ্যারাবিয়ান অয়েল কোম্পানি, আবুধাবির আবুধাবি ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানি থেকে দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করছে। এ ছাড়া পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে। কুয়েত থেকে ২০০৩ সাল থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করা হলেও কুয়েত ২০২০ ও ২০২১ সালে তেল সরবরাহ করা থেকে বিরত রয়েছে। ২০২২ সালে তারা আবার তেল সরবরাহ করা শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বন্ধুপ্রতিম দেশ থেকেও বাংলাদেশ তেল আমদানি করেছ।

সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংসদীয় কমিটি ২০২৩ সালের মধ্যে সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়নে গ্যাসের মানসম্মত প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম দৃশ্যমান পর্যায়ে নিয়ে আসার সুপারিশ করে।

কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, নুরুল ইসলাম তালুকদার, আসলাম হোসেন, খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান অংশ নেন।