গবাদি প্রাণীর খাদ্যনিরাপত্তা নিয়েও ভাবতে হবে

গবাদি প্রাণীর সংখ্যাগত প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে খাদ্যনিরাপত্তার সঠিক কর্মকৌশল তৈরি হয়নি।

বন্যায় গবাদি প্রাণী নিয়ে বিপাকে পড়েন মানুষ। বন্যার পানি কমলে সংকট দেখা দেয় গোখাদ্যের। সম্প্রতি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের বুড়দেও গ্রামে
প্রথম আলো

মানুষের খাবারের দাম বাড়লে গবাদি প্রাণীর খাবারেরও দাম বাড়ে। তবে এবার বাড়ছে লাগামছাড়া। রাজশাহীর চারঘাট থেকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, নীলফামারীর সৈয়দপুর, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী—সব জায়গা থেকে খবর আসছে চাল-আটার চেয়ে ভুসি মঙ্গা হয়ে গেছে। আটার চেয়ে ভুসির দাম বেশি! আমাদের খাদ্যশস্যের উপজাত থেকে প্রধানত গবাদি প্রাণীর খাদ্যের জোগান আসে। ধান ভেসে গেলে খড়বিচালিও থাকে না। ভুসি, কুঁড়া, খুদ, খইল সবই নাগালের বাইরে চলে যায়। বিচালির সঙ্গে সঙ্গে ঘাসেরও আকাল চলছে। আসন্ন বর্ষায় মাঠঘাট ডুবে গেলে সে আকাল আকাশ ছোঁবে।

দাম বাড়ছেই

এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের প্রায় সব জায়গায় ভুসিতে বস্তাপ্রতি দাম বেড়েছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। রাজশাহীর চারঘাট শহরের পৌর বাজারে প্রতি কেজি ভুসি ৫৮ থেকে ৬২ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ চিকন চাল প্রতি কেজি ৪৮ থেকে ৫৬ টাকা এবং প্রতি কেজি আটার প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৪৭ থেকে ৫০ টাকায়। সারা দেশে চারঘাটের খাসির আলাদা কদর থাকায় সেখানে ছোট–বড় মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে। আর আছে প্রায় নয় শ গরুর খামার।

অধিকাংশ খামারি বাজারের ভুসি, চিটা, ভুট্টা ভাঙা, ফিড, খইলসহ নানা রকম দানাদার খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল। এগুলো নগদ দামে কিনে তাঁরা গরু–ছাগলকে খাওয়ান। প্রতি সপ্তাহে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তে থাকায় হতবিহ্বল খামারিরা গবাদি প্রাণীর জন্য প্রয়োজনের চেয়ে অনেক কম খাবার কিনছেন।

যে বাজারে আগে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার বেশি বেচাকেনা হতো, এখন সারা দিনে দুই থেকে তিন হাজার টাকার মালামাল বিক্রি করতে দোকানিরা হিমশিম খাচ্ছেন। একজন খামারি অভিযোগ করলেন, ‘শুধু দাম নয়, প্রতি বস্তায় ওজনে এক থেকে দুই কেজি করে খাদ্য কমও মিলছে।’

খামারি, গৃহস্থ সবাই এখন দানাদার খাবার কমিয়ে ঘাস বেশি খাওয়াচ্ছেন। যাঁরা কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গরু পালছিলেন বা বাণিজ্যিকভাবে দুধ উৎপাদন করে থাকেন, তাঁদের পক্ষে সুষম খাবারের বাইরে যাওয়া সহজ হবে না।

মিল্ক ভিটা গ্রাহক পর্যয়ে দুধের দাম বাড়ালেও দেশের খোলাবাজারে দুধের দাম পড়তির দিকে। আর্থিক দুরবস্থার কারণে পারিবারিক পর্যায়ে দুধের খরচ কমিয়ে ফেলেছে অনেক পরিবার। পরিবার প্রতি দুধের খরচ এখনো করোনা–পূর্ব অবস্থায় পৌঁছায়নি। বছিলা থেকে সাইকেল চালিয়ে প্রতিদিন লালমাটিয়া আর মোহাম্মদপুরে যে কাদের মিয়া বাড়ি বাড়ি ১০০ থেকে ১১০ লিটার দুধ পৌঁছে দিতেন, তিনি এখন সব মিলিয়ে ৪৫ লিটার দুধ বেচতে পারেন।

করোনাকালের থেকে একটু বেড়েছে; ২৫ লিটার থেকে ৪৫ লিটার হয়েছে। করোনার পর অনেকেই ঢাকায় ফিরলেও দুধের শিশুসহ পরিবার রেখে এসেছেন গ্রামে। কাদের মিয়ার পর্যবেক্ষণ তেমনই। অন্য সময় বাড়তি দুধ ময়রার দোকানে দেওয়া যেত। আম কাঁঠালের সময়ে মিষ্টির বিক্রিতে টান পড়ে, তাই সেখানেও চাহিদা নেই। বাজারের চড়া দামের গবাদি প্রাণীর খাবার কিনলে চালান হারিয়ে পথে বসতে হবে কাদেরকে। করোনার ধাক্কায় সাতটির মধ্যে দুটি গরু বেচে দিয়ে টিকে থাকার চেষ্টা করেছিলেন কাদের।

কেবল ঘাস খাইয়ে প্রাণী পালন সম্ভব কি

শুধু ঘাসে গবাদি প্রাণীর পুষ্টি চাহিদা মেটে না। ঘাসবিচালির সঙ্গে সঙ্গে তাকে দানাদার খাবার দিতে হয়। দানাদার খাদ্যগুলো হলো চালের কুঁড়া, গমের ভুসি, ভুট্টা, বিভিন্ন ধরনের খইল, কলাই, ছোলা, খেসারি, সয়াবিন ইত্যাদি। আমিষের পরিমাণের অনুপাতে দানাদার খাদ্যগুলো তিন ভাগে করা যায়। ক. কম আমিষসমৃদ্ধ খাদ্য যেমন—কুঁড়া, ভুসি (৫ থেকে ১৫ শতাংশ আমিষ)। খ. মধ্যম আমিষসমৃদ্ধ খাদ্য যেমন—খইল, কলাই, ছোলা (২০ থেকে ২৫ শতাংশ আমিষ)। গ. উচ্চ আমিষসমৃদ্ধ খাদ্য শুকনো মাছের গুঁড়া, কসাইখানার মাংসের কণা, রক্তের গুঁড়া (৩৫ থেকে ৪৫ শতাংশ আমিষ)।

প্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশি ও সংকর জাতের গাভিকে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ছয় কেজি এবং আমদানি করা বিদেশি গাভিকে সর্বোচ্চ আট কেজি মিশ্র দানাদার খাদ্য সরবরাহ করতে হয়।

কেন এত দাম এবার

আমাদের দেশে গত ১০ বছরে গবাদি প্রাণীর বাণিজ্যিক প্রসার ঘটেছে ব্যাপক হারে। দেশি গরুর জায়গায় সংকর জাতের গরুর, এমনকি উড়োজাহাজে করে বিদেশি গরু নিয়ে এসে লালন–পালনের ঝোঁক তৈরি হয়েছে। কৃত্রিম প্রজননব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে। গ্রামের মাঝারি মাপের খামারিরা নিজেদের খামারেই বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে সার্থকভাবে গবাদি প্রাণীর কৃত্রিম প্রজনন সম্পন্ন করছেন। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০১৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া—সব মিলিয়ে গবাদিপশু উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীতে ১২তম।

সরকারি হিসাব বলছে, ২০১৫ সাল থেকে ভারতীয় গবাদি প্রাণী আসা বন্ধ হওয়ার পর দেশে প্রতিবছর ২৫ শতাংশ হারে গবাদি প্রাণীর খামার বাড়ছে। ছোট-বড় মিলিয়ে খামারের সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ।

তিন বছরে (২০১৮-২০) দেশে গরু-ছাগলের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২০ লাখ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে পশুর উৎপাদন আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩ লাখ ৯৯ হাজার বেড়ে হয় ৫ কোটি ৬৩ লাখ ২৮ হাজার। এর মধ্যে ৪৪ শতাংশ গরু, ৪৫ শতাংশ ছাগল। বাকিগুলো মহিষ ও ভেড়া।

এই হিসাব দেখে ক্যালকুলেটর টিপে একজন মন্ত্রী আনন্দে গদগদ হয়ে বলে ফেলেছিলেন, ‘মানুষ চাইলেই এখন তিন বেলা গোশত খেতে পারে।’ প্রাণীর গোশতে তিন বেলা খাওয়াদাওয়া করতে গেলে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষের যে দুবেলা সুষম খাবারের ব্যবস্থা করতে হয়, সেটা ভুলে গেলে চলবে কি?

গবাদি প্রাণীর সংখ্যাগত প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে গবাদি প্রাণীর খাদ্যনিরাপত্তার সঠিক কর্মকৌশল তৈরি হয়নি। ঘাসবিচালি আর দানাদার খাবারের কোনো বিকল্পকে গুরুত্বের সঙ্গে গবেষণা থেকে মাঠপর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি। এই মুহূর্তে কী কী বিকল্পে যাওয়া যেতে পারে?

অ্যাজোলা

অ্যাজোলা দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভিদ। এটি ৩ থেকে ১০ দিনের মধ্যে দ্বিগুণ হয়ে যায়। পানি জমে থাকা ধানের জমিতে এর উৎপাদন একরে ৮ থেকে ১০ টন পর্যন্ত হয়। আর প্রতি হেক্টরে অ্যাজোলার উৎপাদন হতে পারে ৩৭ দশমিক ৮ টন। অ্যাজোলার সঙ্গে আমাদের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বহুদিন থেকে পরিচিত। অনেকেই অ্যাজোলা নিয়ে মৌলিক গবেষণাও করেছেন।

খুব কম খরচে অতি দ্রুত অ্যাজোলার চাষের সম্প্রসারণ করে বর্তমান সংকট থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। জাতীয় কৃষি পুরুস্কারপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী এবং ময়মনসিংহে অবস্থিত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবদুস সালাম এ ধারণার সঙ্গে একমত পোষণ করে জানালেন, ‘অ্যাজোলা আসলে একধরনের ফার্ন, যাকে আমরা বলি ঢেঁকিশাক বা ঢেঁকড়া। খুব অল্প পানিতেও এটি দ্রুত বাড়তে পারে। এমনকি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ছোটখাটো একটি পুকুরে একেবারে ছেয়ে যেতে পারে। সুযোগ পেলে আমরা আমাদের গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা দিয়ে এই সংকটে খামারিদের সহায়তা করতে পারি।’

অ্যাজোলাকে কোথাও পানা, দল, ফিচি ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। ধানের জমিতে এটি হলে অনেকে আগাছা মনে করে তুলে ফেলেন। পুকুরে হলেও মনে করেন জঞ্জাল। অ্যাজোলায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ প্রোটিন, ১০ থেকে ১৫ শতাংশ খনিজ, ৭ থেকে ১০ শতাংশ অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। ফলে এটি খাওয়ালে আপনার খামারে ভিটামিন ও পুষ্টির পেছনে খরচ অনেকখানি কমে যাবে।

তবে সংগ্রহের পর অবশ্যই পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে লবণ মাখিয়ে খাওয়াতে হবে। আমিষ (প্রোটিন) ও নানা ভিটামিনে ভরপুর অ্যাজোলা। চাষের ১৫ দিন পর থেকেই গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস, মুরগিসহ সব ধরনের প্রাণীকেই খাওয়ানো যায়। মশার বংশবৃদ্ধি ঠেকাতেও অ্যাজোলার ব্যবহার আছে। আর এ কারণেই এটিকে মসকিটো ফার্নও বলে। ধানের জমিতে অ্যাজোলা থাকলে সেখানে মশার লার্ভা জন্মাতে পারে না। কারণ, অ্যাজোলা ঘন কার্পেটের মতো হয়ে যাওয়ায় মশা পানিতে ডিম পাড়তে পারে না। আবার ডিম পাড়লেও লার্ভাগুলো অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়।

মাটি ছাড়া ঘাস চাষ বা হাইড্রোপনিক ঘাস

এখন গমের দাম আকাশে উঠে যাওয়ায় এই চাষ খুব একটা সাশ্রয়ী না–ও হতে পারে। তবে অনেকে ভুট্টাবীজ ব্যবহার করে এই তেজি গোখাদ্যটি চাষের কথা বলছেন। এই চাষ এতটাই সহজ যে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্র শুধু টেলিভিশনে দেওয়া তথ্যকে পুঁজি করে হাইড্রোপনিক ঘাসের চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়। পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের কলারন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আবির হোসেন হয়ে ওঠে একজন সফল হাইড্রোপনিক ঘাস চাষি।

আবিরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী গমবীজ থেকে সাত দিনে উৎপাদিত ঘাস প্রায় ৮ ইঞ্চি লম্বা হয়। একটি দুধের গাভিকে এই ঘাস খাওয়ালে তার দুধ দেওয়ার পরিমাণ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বাড়ে। দৈনিক খাবার খরচও কমে যায়। পড়াশোনার পাশাপাশি আবির তাদের সব কটি গরুর জন্য এ ঘাস উৎপাদন করতে থাকে। এটা করোনাকালের আগের ঘটনা।

উন্নত ঘাসের চাষ

সংকট সমাধানের জন্য সীমিত জমিতে অধিক গোখাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য উন্নত জাতের ঘাস জরুরি ভিত্তিতে চাষের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। আমাদের দেশে নেপিয়ার আর পারা ঘাস নিয়ে অনেক দিন থেকেই চর্চা চলেছে।

নেপিয়ারের পাতা ও কাণ্ড দেখতে কিছুটা আখগাছের মতো। এ ঘাস সব ধরনের মাটিতেই জন্মে। তবে বেলে দো–আঁশ মাটিতে ফলন সবচেয়ে বেশি। এ ঘাসের জন্য উঁচু জমি ভালো। বন্যাপ্রবণ এলাকায় এই ঘাসের চাষ চলে না। কিন্তু পারা ঘাসের সেই বালাই নেই। দক্ষিণ আমেরিকার ঘাস পারা এখন বাংলাদেশেরই ঘাস বলা চলে। একবার চাষ করলে কয়েক বছর ধরে ফসল পাওয়া যায়। জলীয় ও আর্দ্র অঞ্চলে এ ঘাস ভালো হয়, তাই আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এটি খুবই উপযোগী। এ ঘাস দেখতে লতার মতো, কাণ্ড গোলা ও সবুজ রঙের।

দেশের অধিকাংশ কৃষক উন্নত জাতের ঘাস সম্পর্কে অবগত নন। এ ঘাসের চাষপদ্ধতি ও গুণাগুণ সম্পর্কে তাঁরা অবগত হলে আরও উৎসাহিত হবেন।

সাইলেজ চর্চা সম্প্রসারণ

বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরে সাইলেজ অনেক পুরোনো একটি পদ্ধতি। সাইলেজ মূলত সবুজ ঘাস সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সবুজ ঘাসের পুষ্টি উপাদান ঠিক রেখে বায়ুশূন্য অবস্থায় সবুজ ঘাসকে ভবিষ্যতের জন্য প্রক্রিয়াজাত করে রাখার প্রক্রিয়াকে সাইলেজ বলা হয়। মাটিতে পুঁতেও সাইলেজ করা যায়। এ জন্য উঁচু স্থান নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় পরিমাণ গর্ত করে কয়েক ধাপে সমপরিমাণে চিটাগুড় এবং পানি মিশিয়ে ঘাস পা দিয়ে ভালোভাবে চাপ দিয়ে ‘কম্প্যাক্ট’ করতে হয়। তারপর ওপরে আবার পলিথিন দিয়ে শক্ত করে বেঁধে মাটি চাপা দিতে হবে।

দানাদার খাদ্যের দাম যখন বেড়েই চলেছে, তখন খামারিদের প্রাণিখাদ্য, বিশেষ করে ঘাস যাওয়ানোর জন্য ঘাস সংরক্ষণ করার প্রক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্ষাকালে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ঘাসের অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে সাইলেজ।

মানুষের খাদ্যনিরাপত্তা আর গবাদি প্রাণীর খাদ্যনিরাপত্তা একই সুতায় বাঁধা। আমাদের হাতের মুঠোর মধ্যেই আছে অনেক সমাধান। দরকার শুধু নিয়তের।

লেখক গবেষক