
‘আসলেই ব্রাজিলের গম দেখতে খারাপ। তবে গুণগত মান ভালো।’ আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে এ কথা বলেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমানের এ সম্পর্কিত এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গম আমদানি করে খাদ্য অধিদপ্তর। এখানে মন্ত্রণালয়ের কিছুই করার নেই। এ সংক্রান্ত বিলও মন্ত্রণালয়ে আসে না।’ গণমাধ্যমের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা গমের নমুনা এনে পরীক্ষা করেন। কেন ভিত্তিহীন সংবাদ পরিবেশন করছেন? ’
সম্পূরক প্রশ্নে পীর ফজলুর রহমান বলেন, পচা গম নিয়ে পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে। সাংসদরা তাদের এলাকায় এই গম ঢুকতে দিচ্ছেন না। পচা গম আমদানির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে কি না?
জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে গম আমদানি করা হয়েছে। প্রি-শিপমেন্ট সনদ পাওয়ার পর গম এখানে এসেছে। দরপত্রে বলা থাকে, একমাত্র ইসরায়েল ছাড়া বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে আমদানি করা যাবে। যখন কথা উঠল গম খারাপ, তখন আমরা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নমুনা এনে খাদ্য অধিদপ্তর ও সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করিয়েছি। তারা বলেছে, এই গমের গুণগত মান নষ্ট হয়নি। পত্রিকাগুলো কোথায় পেয়েছে এই গম নষ্ট? কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও পত্র-পত্রিকা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকারকে হেয় করার জন্য ভিত্তিহীন প্রচারণা চালাচ্ছে। আমদানি করা গমের মধ্যে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৬ মেট্রিক টন বিলি হয়ে গেছে। ২৫ হাজার মেট্রিক টন বাকি আছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘সাংসদরা এলাকায় গম ঢুকতে দেননি বলে যে সংবাদ পরিবেশন হয়েছে, তাও ভিত্তিহীন। আমি সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছি। উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাংসদের বিরোধের জের থেকে এ ঘটনা ঘটেছে। গম পচা বলে এটি ঘটেনি। পুলিশ-বিজিবি এই গম নিচ্ছে না বলে যে প্রচারণা, তাও সত্য নয়। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এ ধরনের কোনো অভিযোগ পায়নি।’
প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বেলা পৌনে ১১টায় সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
সরকারি দলের এনামুল হকের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে সমান করা সম্ভব নয়। এই বৈষম্যে আমাদের ক্ষতি কম। বরং লাভই বেশি।’ একই দলের দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত বিশ্বের ১৪০টি দেশে ১২৪ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
সরকারি দলের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ২২ হাজার ৫৭ জন কর্মী বিদেশে গেছেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে গেছেন ৩ হাজার ১৬৬ জন।
আরও পড়ুন: