‘পরীক্ষা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত মন্দের ভালো’

আমিরুল আলম খান।
ফাইল ছবি

যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল আলম খান মনে করেন, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না নেওয়াটা মন্দের ভালো হয়েছে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে এর চেয়ে ভালো আর কোনো বিকল্প ছিল বলে তিনি মনে করেন না।

আজ বুধবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে না। এবারের পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও এসএসসির ফল বিবেচনায় নিয়ে এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। আগামী ডিসেম্বরের ফল প্রকাশ করার কথাও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

আরও পড়ুন

এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে কথা হয় আমিরুল আলম খানের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিবেচনায় পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। জনস্বাস্থ্যবিদেরা আসলে কী বলছেন, সেটাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু জনস্বাস্থ্যবিদেরা কী পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন? তিনি বলেন, আমার মনে হয় না বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে কেউ মত দিয়েছেন বা পরীক্ষা নেওয়ার কোনো সুযোগ আছে। পরীক্ষা নিতে পারলে ভালো হতো, কিন্তু সেই সুযোগ নেই।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক এই চেয়ারম্যান মনে করেন, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার গড় করে এইচএসসির ফল (জিপিএ) নির্ধারণ ভালো হবে। এতে ফল মূল্যায়ন নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু সমস্যা হবে বিষয়ভিত্তিক (জিপি) ফল মূল্যায়ন নিয়ে। এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হতে পারে। সেটা কারিগরি এবং পরামর্শক কমিটিকে একটি নীতিমালার মধ্যে আনতে হবে।

আরও পড়ুন

সবাই পাশ করবে এ নিয়েও বলার কিছু নেই। কেননা এই শিক্ষার্থীরা কিন্তু পড়াশোনা শেষ করেছে। তারা পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছিল। ফলে তারা না পড়েই পাশ করে যাচ্ছে বিষয়টি কিন্তু তা নয়।

আলাদা আলাদা বিষয়ের গ্রেড নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জেএসসি ও এসএসসিতে কিন্তু একই বিষয় নেই। ফলে গড় করা গঠিন। তবে এক্ষেত্রে গ্রুপ করে দিতে হবে। সেটা নির্ধারণে আলাদা কমিটি করতে হবে।