ফরিদপুরের রুবেল ও বরকতের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১২ জুন

ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও সাজ্জাদ হোসেন বরকত

অর্থ পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তাঁর ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ১২ জুন অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার এই দিন ধার্য করেন।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মাহাবুব আলম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম।

এপিপি মাহাবুব আলম বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাসের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠনের শুনানি অব্যাহত রয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে ২০২০ সালের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী-২০১৫-এর ৪(২) ধারায় এ মামলা করা হয়। ওই মামলা তদন্ত করে গত বছরের ৩ মার্চ আদালতে বরকত, রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন আসামি সাজ্জাদ হোসেন বরকত, ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী, খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর ও আশিকুর ফারহান। আর পলাতক পাঁচজন হলেন মোহাম্মদ বিন আলী মিনার, এ এইচ এম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ, তরিকুল ইসলাম ও কামরুল হাসান ডেভিড। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আরও পড়ুন

গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের ৫ হাজার ৭০৬ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ১৮৮টি ব্যাংক হিসাবে থাকা তাঁদের প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁদের মালিকানাধীন ৫৫টি বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়িও জব্দের আদেশ দেন আদালত।

আরও পড়ুন