বিএনপি-জামায়াত গণহত্যা চালাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত চক্র তথাকথিত আন্দোলনের নামে দেশে গণহত্যা চালাচ্ছে। কারও পক্ষেই এ ধরনের নৃশংসতা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
রাজধানীর একটি হোটেলে গতকাল বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারিবিষয়ক চতুর্থ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। দ্য সোসাইটি অব প্লাস্টিক সার্জনস বাংলাদেশ (এসপিএসবি) চার দিনের এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে। খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট হরতাল-অবরোধের নামে মানুষ হত্যা করছে। তারা খুনের দায় এড়াতে পারে না। মূলত তারা গণহত্যা চালাচ্ছে। এ ধরনের নির্মম কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে আল্লাহ তাদের সুমতি দিন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। মানুষ তাদের এই ধ্বংসাত্মক কর্মসূচিতে সাড়া দেয়নি। এ জন্য তারা পেট্রলবোমা ছুড়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার কৌশল নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন এক সময়ে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে, যখন একটি রাজনৈতিক জোট নিজেদের হীন স্বার্থ উদ্ধারে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারছে। তাদের পেট্রলবোমা-সন্ত্রাসে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ মারা গেছে এবং কয়েক শ মানুষ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুযন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অতীতেও এ দেশে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। কিন্তু তা হয়েছে জনগণের কল্যাণের জন্য। তিনি বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য। তিনি প্রশ্ন করেন, এভাবে মানুষ হত্যা করা হলে জনকল্যাণের রাজনীতির লক্ষ্য অর্জিত হবে কীভাবে?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট অবরোধের সঙ্গে হরতালও দিচ্ছে। এটা যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। সরকার দেশ চালাতে ব্যর্থ হলে তখন তাদের আন্দোলন যুক্তিযুক্ত হতো।
বিএনপি-জামায়াতের পেট্রল বোমায় নিহতদের আত্মীয়স্বজন ও আহতদের সমবেদনা জানানোর ভাষা তাঁর নেই উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা মারা গেছে বা আহত হয়েছে, তাদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তবু আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং নিহতদের পরিবার ও আহতদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে কিছুটা হলেও তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর প্রথম সরকারের মেয়াদে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫০ শয্যার প্রথম বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠিত হয়, যা তাঁর দ্বিতীয় সরকারের মেয়াদে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ইতিমধ্যে এই ইউনিটকে ৩০০ শয্যার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।