লবিস্টদের পেছনে কত অর্থ ব্যয়, তা জানার অধিকার নাগরিকদের আছে

প্রফেসর আলী রীয়াজ

মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে গত ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশের র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এরপর সরকারের ঘনিষ্ঠরা বলতে থাকেন, যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করে বিএনপির নেতিবাচক প্রচারই ওয়াশিংটনকে এমন পদক্ষেপ নিতে প্ররোচনা জুগিয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপি বলছে, তারা কোনো লবিস্ট নিয়োগ করেনি। বরং জনগণের করের টাকা ব্যয় করে সরকারই তাদের নানা অপরাধ আড়াল করতে যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ দিয়েছে।

লবিস্ট নিয়োগ নিয়ে দুই দলের পাল্টাপাল্টি কথার লড়াই চলছেই। যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট ফার্মগুলো প্রকৃতপক্ষে কীভাবে কাজ করে, লবিস্টদের কাজকে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতারা কীভাবে দেখেন, লবিস্টরা ব্যর্থ হলে কী হয়—এসব বিষয়ে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ। মুঠোফোনে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর উপবার্তা সম্পাদক কাজী আলিম-উজ-জামান

লবিস্টদের কাজ হচ্ছে আইনপ্রণেতাদের জানানো, তাঁদের মনোভাব প্রভাবিত করা। এ ক্ষেত্রে তাদের আসল লক্ষ্য হচ্ছে আইনপ্রণেতাদের অফিসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কাছে পৌঁছানো।

প্রথম আলো: প্রথমে জানতে চাই, একজন লবিস্টের প্রধান কাজ কী? যুক্তরাষ্ট্রে কতটি লবিস্ট ফার্ম রয়েছে আর কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে তাদের নিবন্ধিত হতে হয়?

আলী রীয়াজ: লবিস্ট বলতে বোঝায় কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে, যারা পেশাগতভাবে কোনো প্রতিষ্ঠান বা দেশের পক্ষে ওই প্রতিষ্ঠান বা দেশের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের কাছে তুলে ধরে। তারা সরকার ও সাধারণ নাগরিকদের কাছেও বক্তব্য তুলে ধরতে পারে, বিজ্ঞাপন দিতে পারে, জনসংযোগ করতে পারে। তবে তাদের প্রধান কাজ হচ্ছে আইনপ্রণেতাদের কাছে পৌঁছানো।

যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যেসব প্রতিষ্ঠান কাজ করে, আমি বলছি ফেডারেল সরকারের কথা, তাদের প্রতিনিধি পরিষদের ‘অফিস অব ক্লার্ক’-এ এবং সিনেটের সেক্রেটারির কাছে নিবন্ধিত হতে হয়। আরা যারা বিদেশি কোনো মক্কেলের প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের নিবন্ধিত হতে হয় আইন মন্ত্রণালয় বা ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি ডিভিশনে। যে আইনের আওতায় এই নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা আছে, তা হচ্ছে ফরেন এজেন্ট রেজিস্ট্রেশন অ্যাক্ট বা ফারা। আইনটি চালু হয় ১৯৩৮ সালে। যেটা তারা (লবিস্ট ফার্ম) পারে না সেটা হচ্ছে আর্থিক লেনদেন, তারা কোনো আইনপ্রণেতাকে অর্থ দিতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্রে মোট লবিস্টের সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ১২ হাজার। এর মধ্যে বিদেশিদের প্রতিনিধিত্ব করে, এমন যারা নিবন্ধিত, তাদের সংখ্যা হচ্ছে ৮৭৫।

প্রথম আলো: এই লবিস্টদের কাজ কারা তদারক করে? লবিস্ট ফার্ম কি সব তথ্য প্রকাশ করতে আইনগতভাবে বাধ্য?

আলী রীয়াজ: বিদেশের হয়ে যারা লবি করে, তাদের তদারকির দায়িত্ব হচ্ছে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের। কিন্তু আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে এদের ওপরে অন্যদেরও নজর থাকে। যেমন ধরুন, ওপেন সিক্রেটস বলে একটি সংগঠন। এরা হচ্ছে সিভিল সোসাইটি প্রতিষ্ঠান। নজরদারির কারণ এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যাদের হয়ে কাজ করছে, তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত। এটা বিশেষ করে সেই সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যেখানে কোনো দেশের প্রতিনিধিত্ব করা হয়। তার ওপরে যদি ওই দেশের ব্যাপারে কোনো ধরনের আপত্তির বিষয় থাকে, তবে তো অবশ্যই তারা নজরে থাকে। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের সব ধরনের তথ্য জাস্টিস ডিপার্টমেন্টে দিতে বাধ্য থাকে। আইনে বলা হয়েছে, এমনকি তাদের কাজের ব্যয়ের ফর্দ পর্যন্ত দিতে হবে।
এখানে আরেকটা কথা বলি, বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হয়ে যারা লবি করে, তারা চাইলে ফারার আওতায় নিবন্ধন না করে অভ্যন্তরীণ লবিবিষয়ক আইনের আওতায় কংগ্রেসে নিবন্ধন করতে পারে। এই আইনের নাম হচ্ছে লবিং ডিসক্লোজার অ্যাক্ট। কিন্তু কেউ যদি বিদেশি সরকার বা রাজনৈতিক দলের হয়ে লবি করে, তবে তাকে ফারার আওতায়ই নিবন্ধন করতে হয়। তা সত্ত্বেও অভিযোগ আছে যে অনেক দেশের পক্ষে লবিস্টরা এভাবে কম নজরদারির সুবিধা নেয়। এ কারণে ফারা আইনের সংস্কার করার চেষ্টা হচ্ছে।

এই যে তথ্যগুলো বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রকাশ করছে, সেগুলো কিন্তু তাদের নিজস্ব কোনো অনুসন্ধান নয়। এগুলো আগেই পাবলিকলি পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু যতক্ষণ না নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা হয়নি।

প্রথম আলো: লবিস্টরা কি সব সময় সফল হয়? তারা ব্যর্থ হলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয়?

আলী রীয়াজ: সফল হওয়া বলতে আপনি কী বোঝাচ্ছেন, তার ওপরে বিষয়টা নির্ভর করে। লবিস্টদের কাজ হচ্ছে আইনপ্রণেতাদের জানানো, তাঁদের মনোভাব প্রভাবিত করা। এ ক্ষেত্রে তাদের আসল লক্ষ্য হচ্ছে আইনপ্রণেতাদের অফিসে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের কাছে পৌঁছানো। ধরুন, তারা একটি আইনের প্রয়োগ না হোক তা চায়, সে জন্য লবি করল। কিন্তু তারপরও সেই আইন প্রয়োগ হলো, লবিস্টদের আসলে কিছুই করার নেই। তারা বারবার চেষ্টা করতে পারে। এর চেয়ে বেশি কিছু তারা করতে পারে না।

প্রথম আলো: লবিস্টদের কাজকে যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতা ও সাধারণ মানুষ কীভাবে দেখেন? এ বিষয়ে আপনার কোনো ধারণা আছে কি?

আলী রীয়াজ: যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যারা লবি করে, তারা আসলে আইনপ্রণেতাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করে, তাদের নির্বাচনী প্রচারে অর্থ দেয় বা সংগ্রহ করে দেয়। ফলে তারা এ নিয়ে খুব বেশি উচ্চকণ্ঠ নয়। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। তবে বিদেশি লবিস্টদের ব্যাপারে আইনপ্রণেতারা বেশ স্পর্শকাতর। সাধারণ মানুষ লবিস্টদের ব্যাপারে খুব বেশি অবহিত বলে মনে হয় না। তাঁরা মাঝেমধ্যে শোনেন। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন, বুঝতে পারেন যে সাধারণের স্বার্থ লঙ্ঘিত হওয়ার কারণ এ ধরনের লবিং। বিদেশি লবিং বিষয়ে খুব বেশি ধারণা মানুষের নেই।

কী কারণে এই ব্যয় করতে হলো, কারা এ থেকে সুবিধা পেলেন, সেসব জানার অধিকার করদাতাদের আছে।

প্রথম আলো: বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশেষ ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর যখন যুক্তরাষ্ট্র অবরোধ আরোপ করে, তখন সেই সব দেশ লবিস্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে? তারা কি লবিস্ট নিয়োগ করে, নাকি কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় সমাধানের পথে হাঁটে?

আলী রীয়াজ: সাধারণভাবে দেখলে এ ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো লবিং প্রতিষ্ঠান খুব সহজে কাজ করতে চাওয়ার কথা নয়। কিন্তু জানেন তো অর্থের শক্তি কেমন। ফলে আমরা দেখতে পেয়েছি যে অনেক লবিং ফার্ম এ ধরনের মক্কেল নিয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি লবিং ফার্মকে নিয়োগ দিয়েছে এবং ট্রাম্পের লোকজনকে প্রভাবিত করতে পেরেছে। চীনা প্রতিষ্ঠান, রাশিয়ার ধনকুবের, এমনকি কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট জোসেফ কাবিলার হয়ে লবিং প্রতিষ্ঠান কাজ করেছে। কেউ কেউ প্রভাব বিস্তার করতেও পেরেছে। তবে কি জানেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে লবিং ফার্মগুলোর সাফল্যের সম্ভাবনা খুব বেশি নয়। ফলে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ হলে সবচেয়ে কার্যকর উদ্যোগ হচ্ছে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া।

আরও পড়ুন

প্রথম আলো: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিতে ইসরায়েলি লবি প্রভাব বিস্তার করে, এমন একটা বিশ্বাস বিশ্বব্যাপী প্রচলিত আছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য জানতে চাই।

আলী রীয়াজ: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক নীতিনির্ধারণে ইসরায়েলের প্রভাব ব্যাপক এবং তার কারণ বহুবিধ। এ লক্ষ্যে কাজ করছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান। আসলে এ লক্ষ্যে সবচেয়ে বড় কাজ করে পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি বা প্যাক। এদের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী হচ্ছে আমেরিকান ইসরায়েল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। তারা লবিং প্রতিষ্ঠান নয়, তারা একটি সংগঠন এবং তাদের প্রভাব ব্যাপক। কিন্তু এর বাইরেও ইসরায়েলের হয়ে লবিং ফার্ম আছে। অনেকগুলোই আছে। তারা প্রভাব বিস্তার করতে পারে। কেননা, আইনপ্রণেতারা ইতিমধ্যে ইসরায়েলের অনুকূলে অবস্থান নিয়ে আছেন।

প্রথম আলো: যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের প্রশ্নে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিতর্কে জড়ানোর অন্তর্নিহিত কারণ কী বলে মনে করেন?

আলী রীয়াজ: এই যে তথ্যগুলো বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রকাশ করছে, সেগুলো কিন্তু তাদের নিজস্ব কোনো অনুসন্ধান নয়। এগুলো আগেই পাবলিকলি পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু যতক্ষণ না নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এ নিয়ে আলোচনা হয়নি। ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে প্রথম আলোতে সাংবাদিক কামাল আহমেদ এ বিষয়ে প্রতিবেদন লিখেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে কেউ এ নিয়ে খুব বেশি উৎসাহ দেখায়নি। এখন এগুলো নিয়ে পরস্পর আক্রমণ করা হচ্ছে এ কারণে যে সরকার এটা দেখাতে চাইছে যে বিএনপির লবিংয়ের কারণেই এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সরকার দাবি করে, যুক্তরাষ্ট্রকে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এ কথা মনে করার পক্ষে কোনো প্রমাণ পাই না। আবার আওয়ামী লীগ সম্ভবত ভাবেনি যে এ নিয়ে কথা বললে তাদের অতীত প্রচেষ্টাগুলো প্রকাশিত হবে। কারণ যদি বলেন তবে ক্ষমতাসীন দলের উদ্দেশ্য একটাই, অন্যকে দোষী সাব্যস্ত করা।

আরও পড়ুন

প্রথম আলো: লবিস্ট ইস্যুতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের এ তর্কের শেষ কোথায় বলে আপনি মনে করেন?

আলী রীয়াজ: এ বিতর্কের শেষ হবে রাজনীতিতে আরেকটি নতুন বিষয় এলেই। কারণ কী, জানেন? কারণ, যা করা হয়েছে, তা তো বদলে ফেলা যাবে না। কিন্তু ইতিমধ্যে দুটো বিষয় সামনে এসেছে, সেগুলো বোঝা দরকার। বাংলাদেশ সরকার দেশের ভাবমূর্তি ইতিবাচকভাবে উপস্থাপন করতে লবিং ফার্ম আগেও নিয়োগ দিয়েছে, এখন বলছে তারা দেবে। প্রশ্নটা হচ্ছে, দেশে যদি তথ্যের অবাধ প্রবাহ থাকত, তবে তো সরকারকে লবিং ফার্ম নিয়োগ দিতে হতো না। দেশি-বিদেশি নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমগুলো নিজেরাই তা তুলে ধরত। দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে, এই যে জনগণের অর্থ ব্যয় হলো, তা দিয়ে আদৌ কোনো কাজ হয়েছে কি না, সেটার ব্যাপারে একধরনের অস্বচ্ছতা আছে। কত অর্থ ব্যয় হয়েছে, সেটা জানার অধিকার তো নাগরিকদের আছে। কী কারণে এই ব্যয় করতে হলো, কারা এ থেকে সুবিধা পেলেন, সেসব জানার অধিকার করদাতাদের আছে।

আলী রীয়াজ যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর, আটলান্টিক কাউন্সিলের অনাবাসিক সিনিয়র ফেলো এবং আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজের প্রেসিডেন্ট। ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেওয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটেনের লিংকন বিশ্ববিদ্যালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাফলিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এ ছাড়া লন্ডনে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তাঁর গবেষণার বিষয় হচ্ছে গণতন্ত্রায়ণ, সহিংস উগ্রবাদ, দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলাদেশের রাজনীতি। প্রথমা থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত তাঁর দুটি গ্রন্থ হচ্ছে ‘ভয়ের সংস্কৃতি: বাংলাদেশে রাষ্ট্র, রাজনীতি, সমাজ ও ব্যক্তিজীবন’ এবং ‘নিখোঁজ গণতন্ত্র: কর্তৃত্ববাদের পথরেখা ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ’।