চলে গেলেন লিলি চৌধুরী

লিলি চৌধুরী

বিশিষ্ট নাট্যাভিনেত্রী ও শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর সহধর্মিণী লিলি চৌধুরী (৯২) সোমবার বিকেলে রাজধানীর বনানীর বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আত্মীয়স্বজনের দেখার জন্য মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তাঁর মরদেহ বনানীর বাসভবনে রাখা হবে। এরপর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাখা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। বাদ জোহর বনানী কবরস্থানে ছেলে মিশুক মুনীরের কবরে লিলি চৌধুরীকে দাফন করা হবে।

টাঙ্গাইলের জাঙ্গালিয়া গ্রামে নানাবাড়িতে লিলি চৌধুরীর জন্ম। তাঁর বাবা নূর মোহাম্মদ মির্জা, মা আশরাফুন্নেসা। বাবার বদলির চাকরি ছিল। সেই সুবাদে ক্লাস থ্রিতেই শুরু হয় হোস্টেল জীবন। ভর্তি হন কলকাতায় বেগম রোকেয়া প্রতিষ্ঠিত সাখাওয়াত মেমোরিয়াল গার্লস স্কুলে। প্রথম অভিনয় সেভেনে, রবীন্দ্রনাথের নাটকে।

এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাময়িকভাবে স্কুলটি বন্ধ হয়ে যায়। লিলি চলে যান মা-বাবার কাছে, দিল্লিতে। ইন্দ্রপ্রস্থ গার্লস হাইস্কুলে ভর্তি হন।

দুই বছর পর আবার কলকাতায়। সাখাওয়াত স্কুল থেকেই লিলি এন্ট্রান্স পাস করলেন। ভর্তি হলেন লেডি ব্রেবোর্ন কলেজে। দুই বছর হোস্টেলের নাটকগুলোতে নিয়মিত অভিনয় করেছেন। এর মধ্যেই দেশভাগ হলো।

১৯৪৮-এর মাঝামাঝি নূর মোহাম্মদ মির্জা কর্মস্থল হিসেবে বেছে নিলেন ঢাকাকে। এর মধ্যেই মুনীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হলো লিলির। ১৯৪৯-এর ৩০ সেপ্টেম্বর বিয়ে করেন তাঁরা।

একাত্তরে অনেকে তাঁদের ভারতে চলে যাওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু কখনো পরিকল্পনা হয়নি। মুনীর চৌধুরীও যেতে চাননি। ১৪ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী তাঁকে ধরে নিয়ে যায়।

একাত্তরের পরে কঠিন সংগ্রাম করতে হয়েছে লিলি চৌধুরীকে। বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করেছেন, পাশাপাশি অভিনয়। বিয়ের পর মুনীরই রেডিওতে অডিশন দিতে পাঠিয়েছিলেন লিলি চৌধুরীকে। পরে বেতার, মঞ্চ ও টেলিভিশনে নিয়মিত নাটক করেছেন।

আরও পড়ুন