সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ১ কোটি ৫৮ লাখ ২৭ হাজার ৯১৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। খায়রুজ্জামান ২০০৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০০৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন।
সম্প্রতি খায়রুজ্জামান মালয়েশিয়ার অভিবাসন পুলিশের হাতে দেশটির সেলাঙ্গর প্রদেশের আমপাং এলাকার বাসা থেকে গ্রেপ্তার হন। পরে তিনি ছাড়াও পান।
দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়, এম খায়রুজ্জামানকে ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে কুয়ালালামপুরের দায়িত্বভার ত্যাগ করে ঢাকায় প্রত্যাবর্তনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি নির্দেশ উপেক্ষা করে হাইকমিশন ত্যাগ করে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করেন। পরে খায়রুজ্জামানের অনুমোদিত ও উত্তোলিত বিভিন্ন খরচের বিষয়ে যাচাই ও তদন্ত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম ও পরিচালক মো. খাইরুল আলমের সমন্বয়ে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে দেখা যায় খায়রুজ্জামান প্রাপ্যতা না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন খাত থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা উত্তোলন করেন। এর মধ্যে শিক্ষাভাতা বাবদ ৮ লাখ ৯৭ হাজার ৪০৮ টাকা, ভ্রমণ না করেও ভ্রমণের অগ্রিম হিসেবে ১০ লাখ ৯৩ হাজার ১৩৫ টাকা, চিলড্রেন এয়ার প্যাসেজ বাবদ ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯৪৫ টাকা, গৃহস্থালি জিনিসপত্র কেনাকাটায় ৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৬ টাকা, অবৈধভাবে এসি মেরামত বাবদ ২৪ হাজার ৯১৭ টাকা, অবৈধভাবে স্ত্রীর ভ্রমণ ব্যয় বাবদ ৪৬ হাজার ৯৩৩ টাকা, অবৈধভাবে জ্বালানি খরচ বাবদ ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৮১২ টাকাসহ সর্বমোট ১ কোটি ৫৮ লাখ ২৭ হাজার ৯১৩ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে বিভাগীয় তদন্তে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়।
খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭–এর ৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ারুল হক বাদী হয়ে আজ বুধবার সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১–এ মামলাটি দায়ের করেন।