সিঙ্গাপুরে গ্রেপ্তার যুবকের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে বাংলাদেশ

আহমেদ ফয়সল

জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সিঙ্গাপুরে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক আহমেদ ফয়সলের বিষয়ে সরকার খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে। তবে তাঁকে আইনি সহায়তা দিতে সরকার কনস্যুলার এক্সসেস চাইবে কি না, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ বুধবার বিকেলে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি সূত্র প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছে।

নাম প্রকাশের শর্তে বাংলাদেশের এক কূটনীতিক এই প্রতিবেদককে জানান, আজ সিঙ্গাপুরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আহমেদ ফয়সলের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নিয়মিত নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর বাইরে বিস্তারিত কোনো তথ্য এখন পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে জানানো হয়নি।

সিঙ্গাপুরের গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, নির্মাণশ্রমিক হিসেবে ২০১৭ সালের শুরুতে সিঙ্গাপুরে যান ২৬ বছরের যুবক আহমেদ ফয়সল। ২০১৮ সালে প্রথমে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস এবং ২০১৯ সালের মাঝামাঝি থেকে সিরিয়ায় খেলাফত প্রতিষ্ঠার লড়াইতে শামিল জঙ্গি সংগঠন হায়াত তাহরির আল–শামের (এইচটিএস) প্রতি ঝুঁকে পড়েন। এইচটিএসের তহবিলে চাঁদাও দিয়েছেন ফয়সল। এ ছাড়া তিনি আল–কায়েদা ও সোমালিয়ার আল–শাবাবের মতো জঙ্গি গোষ্ঠীর সমর্থনে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

সিঙ্গাপুরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইনের আওতায় গ্রেপ্তার হওয়া আহমেদ ফয়সলের আইনি সহায়তার জন্য বাংলাদেশ কনস্যুলার সুবিধা চাইবে কি না, জানতে চাইলে সিঙ্গাপুর থেকে এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক এই প্রতিবেদককে জানান, বিষয়টি নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। সম্প্রতি দেশে ফেরত পাঠানো অন্য ১৫ জনের মতো তাঁকেও পাঠানো হলে বাংলাদেশ কনস্যুলার সুবিধা চাইবে না। যদি ফয়সলের বিরুদ্ধে মামলা হয়, তখন বাংলাদেশ কনস্যুলার সুবিধা চাইতে পারে।

ফ্রান্সে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সহিংসতা কিংবা ধর্মীয় অস্থিতিশীলতা উসকে দেওয়ার চেষ্টার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে সিঙ্গাপুর থেকে ১৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাঁদের ব্যাপারে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশন ও ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কূটনীতিকেরা।