সেই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার রিমান্ড মঞ্জুর

গ্রেপ্তার রহিম ও তার সহযোগী মোরশেদ
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে ভোটকেন্দ্র দখলে অস্ত্রধারীদের টাকার বিনিময়ে ভাড়ায় নিয়ে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেই নেতার দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অভিযুক্ত ওই নেতার নাম রহিম উদ্দিন। তিনি চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলা পরিদর্শক মো. নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, রহিম উদ্দিনের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া মোরশেদ আলম নামে তাঁর এক সহযোগীরও দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এর আগে গত শনিবার রাতে নগরের নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে এই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।

মো. নেজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রহিম ও তাঁর সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পিবিআই আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে গতকাল রোববার।

আদালত আজ সোমবার তা শুনানির জন্য রাখেন। আজ চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হক শুনানি শেষে দুজনের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভোটকেন্দ্র দখল করতে রহিম অস্ত্রসহ ২০ হাজার টাকা এবং অস্ত্র ছাড়া ১০ হাজার টাকা করে প্রায় ৪০ জনকে নিয়ে যান চন্দনাইশে। যা গ্রেপ্তার তিন অস্ত্রধারী আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন। এখন রহিমের কাছে তাঁর এই টাকার উৎস জানা হবে। এদের ছাড়া আর কোনো দলকে তিনি নিয়ে গিয়েছিলেন কি না, সেটিও বের করার চেষ্টা রয়েছে।

গত বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি চন্দনাইশ পৌরসভা নির্বাচনে গাছবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের সামনে দুপুরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুর রহিম ও আওয়ামী লীগ সমর্থক মো. সেলিম নামের দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের একপর্যায়ে গোলাগুলি হয়। কেন্দ্রের পাশে ছিলেন গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র হাবিবুর ইসলাম। গুলিতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তাঁর মা ছকিনা খাতুন বাদী হয়ে মামলা করেন চন্দনাইশ থানায়।

আদালতের নির্দেশে মামলাটি পিবিআইতে আসে। তিন অস্ত্রধারী গ্রেপ্তারের পর চন্দনাইশে তাঁদের গুলিতে হাবিবুর ইসলাম নামের ওই তরুণ নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেন।

আরও পড়ুন

গত বুধবার রাতে এই তিন অস্ত্রধারীকে নগরের লালদীঘি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। তাঁরা হলেন কামরুল আজাদ ওরফে সুমন (৩১), শওকত হোসেন (৩২) ও আজাহার উদ্দিন (৩২)। তবে ভোটের দিন প্রদর্শন করা এই তিনজনের অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। গ্রেপ্তারের আগে গত শুক্রবার রহিম অস্ত্রধারীদের কাউকে নিয়ে যাননি দাবি করেন প্রথম আলোর কাছে।

পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার উপপরিদর্শক (এসআই) ও তদন্ত কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, আদালতের আদেশটি হাতে পাওয়ার পর রহিম ও তাঁর সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পিবিআইতে আনা হবে।

আরও পড়ুন