উন্নয়ন প্রকল্পে অহেতুক ব্যয় না করার নির্দেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
পিআইডি

উন্নয়ন প্রকল্পে কৃচ্ছ্রসাধনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, জনকল্যাণমূলক বা জরুরি প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কোনো অপচয় করা যাবে না। সম্পদ সীমিত, অহেতুক ব্যয় করা যাবে না। ঘরে–বাইরে, সরকারের ভেতরে অপচয় রোধ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভা শেষে এই কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এনইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এনইসিতে আগামী অর্থবছরের ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকার মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পাস হয়েছে।

এম এ মান্নান বলেন, এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কৃচ্ছ্রসাধনের প্রয়োজন আছে। তবে ভয়ের ব্যাপার নেই। অর্থ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। অপচয় করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি খাতকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। বিশেষ করে পানি, বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘উই মাস্ট বি কেয়ারফুল, বাট উই আর অ্যাবসুলেটলি রাইট অন ট্র্যাক। আস্থা আছে, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পারব।’ শ্রীলঙ্কার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তাদের প্রতি স্নেহ-ভালোবাসা আছে। ওই দেশের জন্য যদি কিছু করতে পারি, করব। তবে নিজের দেশ সামলাব আগে।’ মন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে আমরা সতর্ক, তবে শঙ্কিত নই।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, জনগণের সরকার জনগণের তুষ্টির জন্য কাজ করে। কিন্তু অনেকে জনতুষ্টির প্রকল্প বলে নেতিবাচক সমালোচনা করেন।
নতুন এডিপি সম্পর্কে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, আগামী এডিপিতে প্রকল্পের সংখ্যা কমেছে। অহেতুক প্রকল্প রাখা হচ্ছে না। উন্নয়নের সঙ্গে সংগতি রেখেই এডিপিতে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

আজ পাস হওয়া আগামী অর্থবছরের এডিপির আকার ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। প্রকল্পের সংখ্যা ১ হাজার ৩৫০। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বা করপোরেশনের প্রায় ৯ হাজার ৯৩৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে এডিপির আকার দাঁড়াল ২ লাখ ৫৬ হাজার ৩ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনলাইনে এনইসি সভায় যোগ দেন। তিনি এনইসি সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।