সমুদ্র অর্থনীতি বাস্তবায়নে সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত হবে

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস
ছবি: সংগৃহীত

সমুদ্র অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনমির ফলে দেশ উন্নত বিশ্বের দিকে আরও অগ্রসর হবে। সমুদ্র অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে আলাদা মন্ত্রণালয় বা বিভাগ গঠন করা উচিত। এতে দেশের সামুদ্রিক পরিবেশ বা সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ নিশ্চিত হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের উদ্যোগে শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সুনীল অর্থনীতি: জাতীয় অগ্রগতিতে এর প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আলোচকেরা এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী।

সংলাপে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সমুদ্র অর্থনীতি বা সুনীল অর্থনীতির বিকাশে সরকারের উদ্যোগের প্রতিফলন পাওয়া যাবে ধাপে ধাপে। পূর্বে সমন্বয়হীনতার কারণে অনেক কাজে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসেনি। তবে পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে সব বাধা অতিক্রম করা সম্ভব।

সমুদ্র অর্থনীতি দেশের জিডিপি বাড়াতেও ভূমিকা রাখবে বলে জানান আলোচকেরা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ বলেন, ‘ব্লু ইকোনমির ফলে দোশের জিডিপি ৩ শতাংশ বাড়বে। এতে করে আমরা উন্নত বিশ্বের দিকে আরও অগ্রসর হব। ব্লু ইকোনমি বাস্তবায়নে বিভিন্ন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

আরও পড়ুন

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. কাউসার আহাম্মদ। এ ছাড়া ‘বাংলাদেশে সুনীল অর্থনীতি এবং সামাজিক সুরক্ষা’ নিয়ে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউএনডিপির সোশ্যাল সিকিউরিটি পলিসি সাপোর্ট প্রোগ্রামের প্রজেক্ট ম্যানেজার আমিনুল আরেফিন।

অনুষ্ঠানে সমুদ্র অর্থনীতি–সম্পর্কিত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সশস্ত্র বাহিনী, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও গবেষক, বিভিন্ন বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচকেরা জানান, এখন পর্যন্ত সমুদ্র অর্থনীতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের অধীন খণ্ডিতভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। সংলাপে বাংলাদেশে সমুদ্র অর্থনীতির সম্ভাবনাকে জাতীয় অগ্রগতিতে কীভাবে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা যেতে পারে, এর ওপর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন সমুদ্র অর্থনীতি–সম্পর্কিত বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করার মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে মত দেন বক্তারা।