ঋণের সুদ বাড়লে বিনিয়োগ কমবে 

ব্যাংকঋণের সুদহারের সীমা তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে আইএমএফ। তাতে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, তা তুলে ধরেছেন একজন ব্যবসায়ী ও একজন সাবেক ব্যাংকার।

আবুল কাসেম খান

ব্যবসায়ীরা কম খরচে ব্যবসা করতে চান। এ জন্য আমরা সব সময় এক অঙ্কের সুদহারের কথা বলে এসেছি। সেই ভিত্তিতে সুদের হার ৯ শতাংশ করা হয়েছিল। এখন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ঋণের শর্ত হিসেবে বলেছে, সুদহারের সীমা তুলে নিতে হবে। কিন্তু সেটা করা হলে ব্যাংকগুলো স্বাভাবিকভাবে সুদহার বাড়াতে চাইবে। কারণ, এতে তাদের মুনাফা বাড়বে। কিন্তু অসুবিধায় পড়বেন ব্যবসায়ীরা। সুদহার বাড়লে পণ্য ও সেবার উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে।

বর্তমানে সব দিক থেকেই ব্যবসায়ীদের ব্যবসার খরচ বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থার উন্নতি হওয়ার আগে যদি সুদহার বাড়ানো হয়, তবে তা ব্যবসায়ীদের জন্য বাড়তি বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। সুদের হার বাড়লে ব্যবসায় বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। ছোট বা বড় ঋণ—যা-ই হোক না কেন, বাড়তি সুদের হারের কারণে ব্যবসায়ীরা চাপে পড়বেন। বিশেষ করে যাঁরা ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা, তাঁদের সমস্যা হবে বেশি। 

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

ব্যাংকঋণে সুদের হার কম থাকা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ইতিবাচক। এতে বিনিয়োগ বাড়ে। আর সুদের হার বেশি হলে বিনিয়োগ কমে যাবে। ব্যবসায়ীরা ঋণ নেওয়া কমিয়ে দেবেন। ব্যবসায়ীরা পুঁজির জন্য মূলত ব্যাংকমুখী। এখনো দেশে বিকল্প অর্থায়নব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। এটা আমাদের জন্য একটা ব্যর্থতা।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণত সুদহার বাড়ানোর কথা বলা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই এটা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে বিকল্প অনেক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা বাংলাদেশ ব্যাংক ঠিক করবে। তবে আমরা চাই, ঋণের সুদ যাতে কম থাকে। 

আবুল কাসেম খান, সাবেক সভাপতি, ডিসিসিআই

আরও পড়ুন