তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে

মমিনুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন

ব্যাংকগুলো এখন ৭ শতাংশের বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করছে। সেখানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) পক্ষে ৭ শতাংশ সুদে আমানত ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য আমানতের সর্বোচ্চ যে সুদহার বেঁধে দিয়েছে, তা দিয়ে আমানত পাওয়া কঠিন। ভালো এনবিএফআইগুলোও এ নির্দেশনা পরিপালনে ব্যর্থ হচ্ছে।

আরও পড়ুন

অনেক এনবিএফআই বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ঋণ দেয়। এতেও সুদহার ৮ শতাংশের ওপরে। ৭ শতাংশ সুদ দিতে চাওয়ায় প্রতিদিন কোনো না কোনো ব্যাংক টাকা তুলে নিচ্ছে বা আমানত নবায়ন করছে না। এতে এনবিএফআইগুলোর তহবিল ব্যবস্থাপনায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কারণ, ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক তারল্য সহায়তা দিলেও এনবিএফআইয়ের জন্য কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

বর্তমান পরিস্থিতিতে এনবিএফআইগুলো নতুন ঋণ না দিয়ে যা আদায় হচ্ছে, তা দিয়ে ব্যাংক থেকে নেওয়া তহবিল ফেরত দিচ্ছে। এর ফলে এনবিএফআইগুলোর প্রবৃদ্ধি কমে আসছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পুরো খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আমানতের সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ সুদের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।

আরও পড়ুন

এ জন্য ঋণের ক্ষেত্রে ১১ শতাংশ সুদ বহাল থাকলেও কোনো সমস্যা নেই। এমনিতেই দিনে দিনে দেশের অর্থনীতিতে এনবিএফআই খাতের অবদান কমে আসছে। প্রতিবেশী ভারতে ঋণের ক্ষেত্রে এনবিএফআইয়ের অংশগ্রহণ প্রায় ২০ শতাংশ। সেখানে আমাদের দেশে মাত্র ৫.৩ শতাংশ।

মমিনুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন