ডলার–সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি বাড়াতে হবে

রিজওয়ান রাহমান

ডলার–সংকটের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার মান ঠিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পণ্য আমদানি তদারকি, অব্যবহৃত ডলার নগদায়ন এবং ব্যাংকের অফশোর ইউনিট থেকে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য অর্থ ধার নেওয়া।

এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার ইআরকিউ (রপ্তানিকারকের রিটেনশন কোটা) হিসাবে রাখা অর্থের ৫০ শতাংশ নগদায়ন করা এবং ৫০ লাখ ডলারের বেশি পণ্য আমদানিতে ঋণপত্রে খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকে জানানোর বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

বিলাসী পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শতভাগ মার্জিন কিছুটা হলেও আমদানির লাগাম টেনে ধরতে পারবে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ঘাটতি হ্রাস করবে। তবে আমদানির ক্রমবর্ধমান ধারার বিপরীতে এটি উল্লেখযোগ্য কিছু নয়।

কারণ, আমাদের আমদানি প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি প্রবৃদ্ধির তুলনায় অনেকাংশে বেশি। আমরা মনে করি, যতক্ষণ পর্যন্ত না বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবেশ এবং জ্বালানির মূল্য ও সরবরাহ অবস্থা উন্নত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের সার্বিক ডলার রিজার্ভের উন্নতি হবে না।

যেহেতু ডলারের বিনিময় হার বাজার ব্যবস্থার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়, সেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রামান নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ও খোলা বাজারের ওপর বিশেষ নজরদারি করা প্রয়োজন। যাতে আন্তব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলারের বিনিময় মূল্যের ক্ষেত্রে পার্থক্য কমে আসে। তাহলে বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়বে।

রিজওয়ান রাহমান, সভাপতি
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)

আরও পড়ুন