ব্যবসায়িক পর্যায়ে সমস্যা সমাধানের সুযোগ নেই

রিয়াদ মাহমুদ

আমরা দীর্ঘ এক যুগ ধরে ভারতের সেভেন সিস্টার বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্য আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, অরুণাচল, মণিপুর, নাগাল্যান্ড ও মিজোরামে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করি। আমরা পিভিসি পাইপ-ফিটিংস, দরজা, গৃহস্থালি সামগ্রীসহ (জগ, মগ, বালতি ইত্যাদি) বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করে থাকি। ভারতের এসব রাজ্যে প্রতি মাসে গড়ে ন্যাশনাল পলিমারের রপ্তানির পরিমাণ ১০ লাখ ডলারের কাছাকাছি। প্রতিবছর ভারতের বাজারে আমাদের ব্যবসা ৫-৬ শতাংশ হারে বাড়ছিল। 

গত শনিবার ভারত সরকার বাংলাদেশি কিছু পণ্য স্থলবন্দর ব্যবহার করে আমদানির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর আমাদের প্রতিষ্ঠান দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারতের জন্য পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানি কার্যক্রম স্থগিত করেছি। কারণ, অন্য কোনো স্থলবন্দর কিংবা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতের সেভেন সিস্টারে পণ্য পাঠানো লাভজনক হবে না। বিকল্প পথে পণ্য রপ্তানি করতে গেলে তাতে পরিবহন খরচ অনেক বেড়ে যাবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টেকা যাবে না। 

ভারত সরকারের আমদানি বিধিনিষেধের সিদ্ধান্তে সাময়িকভাবে রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাজারটির জন্য আমরা যেসব পণ্য উৎপাদন করেছি, সেগুলোর জন্য লোকসান গুনতে হবে। কারণ, সেগুলো ভারতীয় মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার মান অনুযায়ী উৎপাদন করা হয়েছে। তা ছাড়া সেভেন সিস্টারে পণ্য রপ্তানি থেকে প্রাপ্ত অর্থ আমরা কাঁচামাল আমদানিতে ব্যবহার করতাম। তাতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কম পড়ত। 

ভারত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটি ভূরাজনীতির অংশ। আমাদের প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যবসায়িক সংগঠন পর্যায়ে এটির সমাধানের কোনো সুযোগ নেই। ফলে সরকারি পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধানে কাজ করতে হবে।


রিয়াদ মাহমুদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), ন্যাশনাল পলিমার