আমাদের দেশে বলতে গেলে নির্বাচন তো নির্বাসনে চলে গেছে। এ অবস্থা প্রায় সবখানেই। ব্যবসায়ীরা তার বাইরে নন। এখনকার বেশির ভাগ ব্যবসায়ী সরকারি দলের অনুগত হয়ে গেছেন। সরকার থেকে যা বলে দেয়, সেটি বাস্তবায়ন হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের অর্থনীতি ও নিজেদের স্বার্থে কাজ করার কথা। কিন্তু তাঁরা সেটা করছেন না। এটা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যাঁরা সত্যিকার অর্থে ব্যবসায়ীদের জন্য কিছু করবেন, তাঁদেরই প্রতিনিধিত্ব করা উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে যাঁদের নেতা হওয়ার কথা, প্রতিনিধি হওয়ার কথা, তাঁরা আসতে পারছেন না। প্রতিনিধি হিসেবে আসছেন তাঁরাই, যাঁরা সরকারের অনুগত। দিন শেষে ক্ষতি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। একই সঙ্গে দেশের।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নির্বাচন হলো গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার কথা, যাতে তাঁরা জনগণের স্বার্থে ও কল্যাণে কাজ করবেন। যেখানেই প্রতিনিধিত্বের প্রশ্ন আছে, সেখানে নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রতিনিধি নির্বাচিত করা উচিত। দেশে জাতীয় নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে গেছে। যাঁরা আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় সংসদে দায়িত্ব পালন করছেন, তাঁরা জনসমর্থনের ভিত্তিতে সেখানে যাচ্ছেন না। এর ফলে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয় না। স্বার্থ সংরক্ষিত হয় না। ব্যবসায়ী সংগঠন, ছাত্রসংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠনসহ সবখানে একই চিত্র দেখছি। নির্বাচনপদ্ধতি বিলুপ্তির দিকে চলে যাচ্ছে। রাজনীতি এককেন্দ্রিক হয়ে গেছে। তাদের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সবখানে নেতা নির্বাচিত হন। যার ফলে যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গড়ে ওঠা প্রয়োজন, সেটা গড়ে উঠছে না। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে না।