কারা ঋণ পাবেন

ঋণ পাওয়ার জন্য একসময় অষ্টম শ্রেণি পাসকে শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছিল। বর্তমানে তা পঞ্চম শ্রেণি পাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। ঋণ আবেদনকারীকে বেকার বা অর্ধবেকার হতে হবে। বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩৫ বছর।তবে বিশেষ বিবেচনায় ৪০ বছর পর্যন্ত বয়স শিথিলযোগ্য।

এ ছাড়া ঋণ পেতে হলে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বিসিক, বিডা, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনসহ (এসডিএফ) অন্যান্য সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। ঋণখেলাপিরা ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না। একই গ্রাহক বা গ্রুপ একাধিক প্রকল্পে ঋণ পাওয়ার যোগ্য বলেও বিবেচিত হবেন না। তবে ৮ শতাংশ সরল সুদে ঋণ দেওয়া হলেও কিস্তি খেলাপি হলে এই সুদ নেওয়া হবে ১০ শতাংশ হারে।

জামিনদার লাগবে

প্রকল্প এলাকায় স্থায়ীভাবে বসবাসকারী এবং যাঁর বাড়িঘর ও জমিজমা আছে ও ঋণ পরিশোধে সক্ষম এমন কেউ জামিনদার হতে পারবেন। আবেদনকারীর পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তিও হতে পারবেন জামিনদার। একটি জেলার কোনো বাসিন্দা ওই জেলার আওতাধীন যেকোনো শাখার উদ্যোক্তার ঋণের বিপরীতে নিশ্চয়তা বা গ্যারান্টি দিতে পারবেন। জামিনদার হতে পারবেন সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরাও।

কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তাজুল ইসলাম সম্প্রতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুব ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ চার মাস আগে আমাদের ৭০০ কোটি টাকা দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ৩৫০ কোটি টাকা পাওয়া গেলেও বাকি টাকা পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।’