চাকরির পরীক্ষার দায়িত্বে আহছানউল্লাহ, তাই স্থগিত

ঢাকায় আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ক্যাম্পাস
ছবি: সংগৃহীত

আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি আপাতত সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা নিতে পারবে না। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি যেসব কাজ পেয়েছিল, তা সাময়িক স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তাই ১৩ ও ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় তিন ব্যাংকের দুই পদের লিখিত পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সচিবালয়ের আওতায় স্থগিত হওয়া দুই পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব পেয়েছিল আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। গত শনিবার অনুষ্ঠিত পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কর্মকর্তা (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে তিন কর্মীকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কালো তালিকাভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন কালো তালিকাভুক্ত করা হবে না, এ–সংক্রান্ত ব্যাখ্যা চেয়ে গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই, নিয়োগ পরীক্ষায় কোনো ধরনের অস্বচ্ছতা থাকবে না। এ জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন সবই করা হবে। যারা জড়িত, তারা বিচারের আওতায় আসবে।’

জানা যায়, আরও কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণের দায়িত্ব পেয়েছে আহছানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হলে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করতে হবে। তাতে পরীক্ষার তারিখ পেছাতে পারে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আইটি এবং জনতা ও সোনালী ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেটাবেইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদের পরীক্ষা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। সিনিয়র অফিসার আইটি পদের পরীক্ষা ১৩ নভেম্বর এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ডেটাবেইস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর পদের পরীক্ষা ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।