প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ পেয়েছে ১৩ লাখ গ্রাহক: বাংলাদেশ ব্যাংক

করোনাভাইরাসের প্রকোপ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল থেকে কম সুদের ঋণ পেয়েছেন ১৩ লাখ গ্রাহক। পোশাকশ্রমিকদের বেতনের জন্য যে ঋণ দেওয়া হয়েছিল, তার আওতায় বেতন পেয়েছে ৩৮ লাখ গ্রাহক। আর ঋণে দুই মাসের সুদ ভর্তুকি সুবিধা পেয়েছে ৭৩ লাখ গ্রাহক। প্রণোদনা তহবিল ঘোষণার এক বছরের বেশি সময় পর হঠাৎ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকার এখন পর্যন্ত ১ লাখ ২৮ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা প্রণোদনা তহবিল ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৯টি তহবিলের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি সম্পৃক্ত। তবে মোট ১২টি তহবিল বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যার আকার প্রায় এক লাখ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৮৩ হাজার ৫৩ কোটি টাকার তহবিল ইতিমধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। বাস্তবায়নের হার মোট প্যাকেজের ৮৩ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক উল্লেখ করেছে, প্রণোদনা তহবিল থেকে পোশাকশ্রমিকদের ২০২০ সালের এপ্রিল ও মে মাসের বেতন-ভাতার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে, যার প্রকৃত সুবিধাভোগী ৩৮ লাখ। পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পুরো খাতে কর্মী ৩০ লাখের কম। মূলত একজনের বেতন প্রতি মাসে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃত গ্রাহক ১৯ লাখ হতে পারে।
আর গত বছর করোনা শুরু হলে সব গ্রাহককে দুই মাসের সুদ ভর্তুকি দেয় সরকার। একে সরকারের খরচ হয় ১ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা। এতে ৭৩ লাখ গ্রাহক সরাসরি সুবিধা পেয়েছেন।

আরও পড়ুন

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্পে ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ১৪ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী হলেন ৯৫ হাজার ৭৩৩ জন গ্রাহক। কৃষি খাতের ৫ হাজার কোটি টাকা তহবিলের ৩ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে, ঋণ পেয়েছেন ২ লাখ গ্রাহক। নিম্ন আয়ের পেশাজীবীদের জন্য গঠিত তিন হাজার কোটি টাকা প্যাকেজের ১ হাজার ৮৩১ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে, যার প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী ৩ লাখ ২০ হাজার গ্রাহক। তবে শিল্প ও সেবা খাতের ৪০ হাজার কোটি টাকার ঋণের সুবিধাভোগীর সংখ্যা উল্লেখ করেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরও পড়ুন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, আমেরিকাসহ বিশ্বের ধনী দেশগুলোর সংগঠন ধনী দেশগুলোর অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থাভুক্ত (ওইসিডি) দেশগুলো যেখানে করোনা মহামারিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের মতো উদীয়মান উন্নয়নশীল দেশের প্রবৃদ্ধির হার ছিল গত অর্থবছরে ৫ শতাংশের ওপরে।