ব্যাংকের পরিচালক, এমডিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সম্পদের তথ্য পর্ষদকে দিতে হবে

ব্যাংকের সব পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার নিম্নতর দুই পদের কর্মকর্তাদের আয় ও সম্পদের তথ্য নিজ নিজ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমনকি তাঁরা যদি পারিবারিক সূত্রে কোনো সম্পদ বা ব্যবসায়ের অংশীদার হন, সে তথ্যও দিতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ব্যাংক পরিচালক ও ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথমবারের মতো এ বিষয়ে নির্দেশনা দিল। যদিও ব্যাংক কোম্পানি আইনে দীর্ঘদিন ধরেই এসব তথ্য দেওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। ব্যাংকগুলোকে পরিচালনা পর্ষদের সব ধরনের নথি বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিতে হয়। এর মাধ্যমেই বিষয়টি তদারকি করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ১৮ ধারার উপধারা (২) অনুযায়ী ব্যাংক-কোম্পানির প্রত্যেক পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী ও তার নিম্নতর দুই স্তর পর্যন্ত কর্মকর্তাকে স্ব স্ব বাণিজ্যিক, আর্থিক, কৃষি, শিল্প ও অন্যান্য ব্যবসার নাম, ঠিকানা ও অন্য বিবরণ এবং পারিবারিক ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিবরণ লিখিতভাবে পরিচালনা পর্ষদের কাছে বার্ষিক ভিত্তিতে দিতে হবে। এ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হলো।’

আরও পড়ুন

ব্যাংক কোম্পানি আইনের ওই বিধান মানার জন্য প্রত্যেক ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও তার নিম্নতর দুই স্তর পর্যন্ত কর্মকর্তাকে স্ব স্ব বাণিজ্যিক, আর্থিক, কৃষি, শিল্প এবং অন্যান্য ব্যবসার নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য বিবরণ এবং পারিবারিক ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্টতার বিবরণ প্রতি পঞ্জিকা বছর শেষে পরবর্তী বছরের ২০ জানুয়ারির মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে দাখিল করতে হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত বছরের জন্য এ-সংক্রান্ত বিবরণীসমূহ চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ব্যাংকে দাখিল করা যাবে। দাখিলকৃত বিবরণীসমূহ পরবর্তী পর্ষদ সভায় উপস্থাপন করতে হবে। ব্যাংক-কোম্পানি কর্তৃক এই বিবরণীসমূহ যথাযথভাবে সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন