শেয়ার কেলেঙ্কারির দায়ে পি কের জরিমানা, আদায় হবে কীভাবে?

প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিরুদ্ধে এবার শেয়ার কেলেঙ্কারিরও প্রমাণ মিলেছে। এ জন্য পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পি কে হালদারকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।

এ ছাড়া তাঁর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান হাল ইন্ডাস্ট্রিজকে ৮৫ লাখ ও সন্দীপ করপোরেশনকে ৬০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর বাইরে শেয়ার কেলেঙ্কারির জন্য জরিমানা করা হয়েছে পি কে হালদারের আরও বেশ কিছু সহযোগীকে।

আরও পড়ুন

বিএসইসির আজ বুধবারের কমিশন সভায় এ জরিমানা করা হয়। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নর্দান জুট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কেলেঙ্কারির জন্য এ জরিমানা করা হয়েছে। নর্দান জুট ছিল পি কে হালদারের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান।

২০১৮ ও ২০১৯ সালে এ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছিল। পরে তদন্তে ওই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারসাজির নানা ঘটনা পাওয়া যায়। যার সঙ্গে পি কে হালদার ও তাঁর সহযোগীদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। যার ভিত্তিতে বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও এফএএস ফাইন্যান্স থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে ২০১৯ সালে দেশ ছেড়ে পালান পি কে হালদার। বর্তমানে তাঁর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এখনো পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। কিন্তু বিএসইসি শেয়ার কেলেঙ্কারির জন্য তাঁকে আর্থিক জরিমানা করেছে। তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, জরিমানার এ অর্থ আদায় হবে কীভাবে? নিয়ম অনুযায়ী অবশ্য জরিমানার অর্থ আদায় না হলে মামলা করার বিধান রয়েছে বিএসইসির। এ ছাড়া যত দিন অর্থ আদায় হবে না, তত দিনের জন্য জরিমানা ধার্য করারও বিধান আছে।