সেবা খাতের বিদেশি কোম্পানিও ঋণ আনতে পারবে

সেবা খাতের বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারহোল্ডার থেকে ঋণ আনতে পারবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরুর ৬ বছর পর্যন্ত এই ঋণ আনার সুযোগ পাবে। আগে শুধু উৎপাদন খাতের বিদেশি প্রতিষ্ঠান এভাবে স্বল্পমেয়াদি ঋণ নেওয়ার সুযোগ পেত। আর ঋণ আনতে হতো কার্যক্রম শুরুর ৩ বছরের মধ্যে। এখন উৎপাদন ও সেবা, সব প্রতিষ্ঠানই ৬ বছরের মধ্যে ঋণ আনতে পারবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ আজ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ঋণ গ্রহণের ব্যবস্থা সহজ করেছে। এর ফলে দেশে কার্যক্রম চালানো বিদেশি মালিকানাধীন ও বিদেশি নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ঋণ গ্রহণ সহজ হলো। বিদেশ থেকে ঋণ আনলে সুদহার কম হয়। এতে ব্যবসায় বেশি সুবিধা মেলে।

সুবিধাটি ট্রেডিং খাতের ব্যবসার জন্য প্রযোজ্য হবে না। উৎপাদন ও সেবা কার্যক্রম শুরু থেকে ৬ বছর পর্যন্ত এ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। আগে ৩ বছর পর্যন্ত এ সুবিধা গ্রহণ করা যেত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এখন থেকে উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও সেবা খাতের শিল্পপ্রতিষ্ঠানও তাদের বিদেশি সহযোগী প্রতিষ্ঠান ও শেয়ারহোল্ডারদের থেকে স্বল্পমেয়াদি বিদেশি ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। তবে এ সুবিধা ট্রেডিং খাতের ব্যবসার জন্য প্রযোজ্য হবে না। উৎপাদন ও সেবা কার্যক্রম শুরু থেকে ৬ বছর পর্যন্ত এ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।

আগে ৩ বছর পর্যন্ত এ সুবিধা গ্রহণ করা যেত। একই সঙ্গে বিনিময়যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রায় এই ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা যাবে। তবে ঋণবাবদ প্রাপ্ত অর্থের নগদায়নকৃত টাকা মূল্যের ওপর ব্যাংকের ৩ মাস মেয়াদি আমানতের ওপর প্রযোজ্য সুদহার এই ঋণের ক্ষেত্রে আরোপ করা যায়। এ বিষয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ২০১৯ সালেই প্রজ্ঞাপন দিয়েছে। এ ছাড়া নগদায়নকৃত টাকা ও সুদ বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তরের মাধ্যমে তা মেয়াদ শেষে পরিশোধ করতে হয়।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনায় দেশি-বিদেশি সব প্রতিষ্ঠানই ক্ষতির মুখে পড়েছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কম সুদে ঋণ, ঋণ পরিশোধে ছাড়সহ নানা সুবিধা দিয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি ঋণে এসব সুযোগ পায়নি। এ কারণে বিদেশি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত হবে। সহজেই চলতি মূলধন ঋণ নিতে পারবে।