নৌপথে প্রাণ খাদ্যপণ্য নিয়ে প্রথম চালান গেল ভারতে

নৌ প্রোটোকল চুক্তির আওতায় নৌপথে প্রথমবারের মতো খাদ্যপণ্যের চালান ভারতের কলকাতায় পাঠিয়েছি প্রাণ।

নৌ প্রোটোকল চুক্তির আওতায় নৌপথে প্রথমবারের মতো খাদ্যপণ্যের চালান ভারতের কলকাতায় পাঠাল প্রাণ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক থেকে একটি কার্গো ভারতের কলকাতার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

প্রথম চালানে গেছে প্রাণ গ্রুপের ২৫ হাজার কার্টন লিচি ড্রিঙ্ক। ২৫ হাজার কার্টন প্রাণ লিচি ড্রিঙ্ক পাঠানো হয়েছে। এটি উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ আনোয়ারুল আশরাফ খান, বাণিজ্যসচিব জাফরউদ্দিন, নৌসচিব মেসবাহ উদ্দিন চৌধুরী ও প্রাণ–আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে দশ হাজার কিলোমিটার নৌ চলাচলের উপযোগী করার প্রতিশ্রুতি ছিল। এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার কিলোমিটার হয়ে গেছে। বাকি কাজ চলছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নৌ পথে ভারতসহ অন্যান্য দেশে পণ্য রপ্তানি বাড়াতে হবে। তার অংশ হিসেবে আমরা নৌ পথে পণ্য রপ্তানি বাড়াচ্ছি। সুনীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান করেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আহসান খান চৌধুরী বলেন, নৌপথে খাদ্যপণ্য রপ্তানির মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরও ব্যাপক প্রসার ঘটবে। নৌপথে পণ্য পরিবহন হলে ৩৫ শতাংশ ব্যয় কমে যাবে। যে ২৫ হাজার কার্টন লিচি ড্রিঙ্ক পাঠানো হলো নৌপথে, তা যদি সড়কপথে পাঠানো হতো, তাহলে ৪০টি ট্রাক লাগত।

বাণিজ্যসচিব বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে বাংলাদেশের ৫০০ থেকে ৭০০ কোটি ডলার রপ্তানি কমে যাবে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রাণ–আরএফএলকে পণ্যের রপ্তানির বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি। প্রাণ–আরএফএল এখন যে পরিমাণ রপ্তানি, তার চেয়ে ২০০ কোটি ডলার বেশি রপ্তানির পরামর্শ দেন।