পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা বেড়েছে

আলু ও দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি বাজারে দেশি রসুনসহ কয়েক পদের মসলার দামও কিছুটা বেড়েছে।

আলু-পেঁয়াজ

ঈদের আগে দেশি পেঁয়াজ ও আলুর দাম কিছুটা বেড়েছে। বাজারে আলুর দাম এবার মৌসুমের শুরু থেকেই বাড়তি। রোজার আগে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের দাম রোজার মাঝামাঝি সময় কমে এলেও ঈদের আগে নতুন করে বেড়েছে। বাজারে রসুনসহ আরও বেশ কয়েক পদের মসলার দামও বাড়তি।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) গতকাল সোমবারের বাজারদর অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকার বাজারে কেজিপ্রতি আলুর দাম ৫ টাকা বেড়ে ৪৫ থেকে ৫০ হয়েছে। এক মাস আগে ঢাকার বাজারে আলুর দাম ছিল কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সেই হিসাবে গত এক মাসে আলুর দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা।

এবার বছরব্যাপী আলু ৫০ টাকার ওপরে কিনতে হবে বলে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিল বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন বা হিমাগার সমিতি। মৌসুম শেষ না হতেই বাজারে ইতিমধ্যে আলুর দাম কয়েক দফা বেড়েছে। টিসিবির হিসাবে, গত বছরের এই সময়ে বাজারে কেজিপ্রতি আলুর দাম ছিল ২২ থেকে ২৫ টাকা; অর্থাৎ এ বছর আলু দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে টিসিবি বলছে, ঢাকার বাজারে এক সপ্তাহ আগে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৪৫ থেকে ৬০ টাকা। একই পেঁয়াজ এখন কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম ৬৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। টিসিবির হিসেবে অনুযায়ী, ঢাকার বাজারে গত বছরের এই সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় দেশি পেঁয়াজ বর্তমানে প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে।

রোজার আগে পেঁয়াজ ১০০ টাকার ওপর বিক্রি হচ্ছিল। পর্যাপ্ত সরবরাহের সংকট আছে—দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা এ কথাই বলেছিলেন। তখন সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ আনার ঘোষণা দেয়। এরপর দাম অর্ধেকে নেমে আসে। ভারত থেকে সম্প্রতি এক চালানে দেড় হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ এসেছে। তাতে দামও নিয়ন্ত্রণে ছিল; এখন ঈদ কেন্দ্র করে দাম কিছুটা বাড়তি।

কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা বাবুল মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সপ্তাহখানেক আগে পাইকারি বাজারে কেজিপ্রতি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৪৬ টাকায়; এখন যা বিক্রি হচ্ছে ৫১ থেকে ৫২ টাকায়। ঈদের আগে দাম একটু বেড়েছে। তবে এটাকে খুব বেশি বাড়তি বলা যাবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

গত এক সপ্তাহে বাজারে দেশি রসুনসহ কয়েক পদের মসলার দামও একটু বেড়েছে। কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৩০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়। ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া দেশি শুকনা মরিচ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪৮০ টাকায় উঠেছে। গত সপ্তাহে দেশি আদা কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। বর্তমানে দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়।