মদ বেচে সম্পূরক শুল্ক দেয়নি নারায়ণগঞ্জ ক্লাব

ভ্যাট গোয়েন্দা দলের অভিযান।
ফাইল ছবি

নিজেদের বারে মদ বিক্রি করে কোনো সম্পূরক শুল্ক দেয়নি নারায়ণগঞ্জ ক্লাব। এ ছাড়া বিভিন্ন সেবার বিপরীতে সাড়ে সাত কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ক্লাবটি। আজ বৃহস্পতিবার ভ্যাটের টাকা পরিশোধের জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষের এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেট আজ নারায়ণগঞ্জ ক্লাবকে ভ্যাট পরিশোধের নোটিশ দিয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ দুই বছর আগে এই অভিজাত ক্লাবের বিরুদ্ধে ২০১১-১২ থেকে ২০১৪-১৫ পর্যন্ত ৪ বছরের হিসাব তদন্ত করে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি উদঘাটন করে। যথাসময়ে ভ্যাট পরিশোধ না করায় আরও ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকার সুদ আরোপ করা হয়।

আরও পড়ুন

ভ্যাট গোয়েন্দা তদন্ত প্রতিবেদনটি নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারের কাছে পাঠিয়েছিল। দীর্ঘ শুনানি ও মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ভ্যাট গোয়েন্দার দায়ের করা মামলায় ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ বহাল রাখা হয়। নারায়ণগঞ্জ ক্লাব লিমিটেড ৯৫, বঙ্গবন্ধু রোড, নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত।

ভ্যাট ফাঁকির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকায় ভ্যাট গোয়েন্দা আয়কর অফিস ও অন্যান্য সূত্র হতে প্রতিষ্ঠানের দাখিলকৃত বার্ষিক সিএ রিপোর্ট ও অন্য কাগজপত্র সংগ্রহ করে।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান প্রথম আলোকে বলেন, হিসাবটি দুই বছর আগে করা হয়েছে। এখন সুদসহ ভ্যাটের পরিমাণ আরও বাড়বে। তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি মদ বিক্রি করে কোনো সম্পূরক শুল্ক দেয়নি। আমরা মদ বিক্রির তথ্য–উপাত্ত বের করে ফাঁকি দেওয়া ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্কের পরিমাণ নির্ধারণ করেছি।’

নিজেদের বারে মদ বিক্রি করে কোনো সম্পূরক শুল্ক দেয়নি নারায়ণগঞ্জ ক্লাব। এ ছাড়া বিভিন্ন সেবার বিপরীতে সাড়ে সাত কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ক্লাবটি। ভ্যাটের টাকা পরিশোধের জন্য ১৫ দিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত অনুসারে, বারে মদ–জাতীয় পণ্য সরবরাহের বিপরীতে সম্পূরক শুল্ক বাবদ কোনো টাকা পরিশোধ করেনি ক্লাবটি। আর আরোপিত ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্কের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ১৭ হাজার ৪৪৭ টাকা। তা–ও দেয়নি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ২ শতাংশ সুদ হিসাবে আরও ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৭২৮ টাকা আরোপ হয়েছে।