এবার ‘গোল্ড ব্যাংক’-এর দাবি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের

দেশে এবার দাবি উঠেছে, স্বর্ণ লেনদেনের জন্য একটি ‘গোল্ড ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার। স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এ দাবি তুলেছেন। আর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও এ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে একটা গোল্ড ব্যাংক দরকার। দারুণ এক আইকনিক চিন্তা থেকে এটি এসেছে। স্বর্ণশিল্পে অনেক অনেক টাকার মূল্য সংযোজন হয়। তাই এ শিল্পের বিপুল রপ্তানির সম্ভাবনা রয়েছে। সামান্য একটু স্বর্ণ গেলেই লাখ লাখ টাকা।’

মঙ্গলবার রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাজুস সভাপতি সায়েম সোবহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাজুসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বর্ণকার ও স্বর্ণশিল্পীদের হাতের কাজ অনেক সুন্দর। যাঁরা শত শত বছর ধরে উত্তরাধিকার সূত্রে এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। এ খাতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এ খাতে ভালোভাবে নজর দেওয়া দরকার।

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, জুয়েলার্স সমিতির নেতারা এ খাতের জন্য ব্যাংক ও গোল্ড এক্সচেঞ্জ করার দাবি করেছেন। দেশে সবকিছুর ব্যাংক রয়েছে। তাহলে গোল্ড ব্যাংক ও গোল্ড এক্সচেঞ্জ কেন হবে না। আমরা যদি শুধু চীন ও ইউরোপে স্বর্ণ রপ্তানি করি, তাহলে আমাদের টাকা রাখার জায়গা থাকবে না। পোশাক খাতকেও ছাড়িয়ে যাবে এ খাতের আয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাজুস সভাপতি বলেন, ‘একটি গোল্ড ব্যাংক বা গোল্ড এক্সচেঞ্জ পলিসি করা হোক। এখন সময় এসেছে জুয়েলারি কারখানা গড়ে তোলার। সবাই এখন শুধু কেনাবেচা করছেন। আমরা শুধু আমদানি করব কেন, রপ্তানির দিকে যেতে হবে।’ এ সময় তিনি এ খাতের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে সেগুলোর সমাধানে প্রধানমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহায়তা কামনা করেন।