নতুন মডেলের গাড়ি আনতে চার বছর লাগবে টয়োটার

জাপানের গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টয়োটা মোটরস জানিয়েছে, তাদের নতুন ল্যান্ডক্রুজার এসইউভি গাড়ির সরবরাহ দিতে আরও প্রায় চার বছর লেগে যেতে পারে। সে জন্য গ্রাহকদের তারা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। তবে সরবরাহে এত সময় লাগার কারণ বৈশ্বিক সরবরাহসংকট নয়, আবার ঠিক কী কারণে তাদের এত দেরি হচ্ছে, সেটাও তারা স্পষ্ট করে বলেনি।

জাপানে বিভিন্ন কারখানায় টয়োটার কর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সে কারণে জাপানের অন্তত ১১টি কারখানায় উৎপাদন হ্রাস করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে টয়োটা।

নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে টয়োটা বলেছে, ল্যান্ডক্রুজার শুধু জাপানে নয়, সারা বিশ্বেই জনপ্রিয়। সে জন্য এই গাড়ির গ্রাহকের হাতে পৌঁছে দিতে দীর্ঘ সময় লেগে যাবে বলে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে।

গত মাসে টয়োটা আরেক ঘোষণায় বলেছিল, বৈশ্বিক সরবরাহসংকটের কারণে জাপানের কিছু কারখানায় গাড়ির উৎপাদন কমাতে হয়েছে। এ ছাড়া গত বছরের শেষ দিকে তারা জানিয়েছিল, বিশ্বব্যাপী চিপস্বল্পতার কারণে গাড়ির উৎপাদন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

এদিকে এই উৎপাদনসংকটের খবর বেরোনোর পরপরই টোকিওর শেয়ারবাজারে টয়োটার শেয়ারের দাম ২ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে।

করোনা সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে জাপান বেশ সুরক্ষিত ছিল। এমনকি দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও তেমন কিছু হয়নি দেশটির। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসের অমিক্রণ ধরনের বাড়বাড়ন্তের কারণে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ জাপানে বেশ ভালোভাবেই আঘাত করেছে। প্রতিদিনই দেশটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। সে জন্য উৎপাদনসংকটে পড়েছে টয়োটা।