ভোজ্যতেলের উৎপাদন, আমদানি ও ভোক্তাপর্যায়ে ভ্যাট কমছে

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন, ভোজ্যতেলের উৎপাদন, আমদানি ও ভোক্তা—এ তিন পর্যায়ে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ভোজ্যতেলের আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে, এটি ১০ শতাংশ কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হতে পারে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

আজ দুপুরে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্তটি দিয়েছেন বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। বলেন, দুই–এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে।

টিপু মুনশি বলেন, সরকার ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখবে। এ জন্য কঠোর হবে। ভোজ্যতেলের সরবরাহ বাধা ভাঙতে ডিও (অনানুষ্ঠানিকপত্র) ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হবে। সেটি হলে মালিকেরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য সরবরাহ নিতে বাধ্য হবেন এবং পরে সরবরাহ করতেও বাধ্য হবেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

কাল মঙ্গলবার দেশে ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২২ পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোক্তা অধিদপ্তর ৪৯ হাজার ৯৬৮টি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে ১ লাখ ২০ হাজার ১০২টি প্রতিষ্ঠানকে দণ্ডিত করা হয়েছে। অভিযানের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে ৮২ কোটি ৪৫ লাখ ৬৭ হাজার ৪২ টাকা জরিমানা।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তবে অর্থমন্ত্রী যে ঘোষণা দেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। কারণ, ছোলা আমদানিতে কোনো শুল্ককর আগে থেকেই ছিল না। আর চিনির ওপর নতুন করে কোনো ছাড় দেওয়া হচ্ছে না বলে জানা গেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে।

অর্থমন্ত্রী সেদিন জানান, সয়াবিনের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তাপর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এ নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, শুধু উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট তুলে নিলে তাঁদের ব্যয় আরও বাড়বে। কারণ, আমদানি পর্যায়ে যে ভ্যাট রয়েছে, সেটা দিতে হবে। পরে উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে রেয়াত নেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

আরও পড়ুন