১০ বছর কর অবকাশ-সুবিধা চান রংপুরের ব্যবসায়ীরা

প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানছবি: প্রথম আলো

রংপুরের উন্নয়নে আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিবেচনার জন্য ১০টি দাবি জানিয়েছে রংপুর চেম্বার অব কমার্স। এর মধ্যে অন্যতম হলো রংপুরের ব্যবসায়ীদের ১০ বছর কর অবকাশ-সুবিধা প্রদান; রংপুর বিভাগের শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া এবং চারটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন।

আজ বৃহস্পতিবার রংপুর চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত প্রাক্‌-বাজেট আলোচনায় এসব দাবি জানান ব্যবসায়ী নেতারা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান।

রংপুর চেম্বারের অন্য দাবিগুলো হলো তিস্তা মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বরাদ্দ প্রদান; শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা; সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণ; রংপুর সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন বাজেট দেওয়া; রংপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গঠন; রংপুর ওয়াসা গঠন; রংপুরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এবং রংপুর মেডিকেল কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীতকরণ।

আলোচনায় রংপুর চেম্বারের সভাপতি আকবর আলী বলেন, দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নতুন শিল্প স্থাপনা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। মুদ্রাস্ফীতি, ব্যাংকে তারল্যসংকট, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের অভাব ও গ্যাস না থাকায় উত্তরবঙ্গে নতুন শিল্প স্থাপন তো দূরের কথা, কুটির শিল্প টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

১০ বছর কর অবকাশ–সুবিধা চান রংপুরের ব্যবসায়ীরা
ছবি: প্রথম আলো

দেশের খাদ্য চাহিদার ৫০ ভাগ ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের ৭০ ভাগ কাঁচামাল উত্তরাঞ্চল থেকে আসে উল্লেখ করে আলোচকেরা বলেন, রংপুর অঞ্চলে কৃষিভিত্তিক কোনো কারখানা গড়ে ওঠেনি। রংপুর বিভাগে চারটি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার কথা ছিল। কিন্তু সেগুলো কী অবস্থায় আছে, কেউ জানে না। দেশের খাদ্য উৎপাদনে রংপুর অঞ্চলের এমন অবদান থাকলেও বরাদ্দে কেন পিছিয়ে থাকে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।

কুড়িগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি আজিজ মিয়া বলেন, ইউনিয়ন পর্যায়ের অনেক ব্যবসায়ী যাঁদের ইন্ডাস্ট্রি নেই, তাঁরাও কর দিতে চান। কিন্তু নানা ধরনের জটিলতার কারণে সাধারণ ব্যবসায়ীরা কর দিতে উৎসাহী হচ্ছেন না।

এস আলম, বেক্সিমকো, শিকদার গ্রুপসহ বিভিন্ন শিল্পগোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে কথা বলেন গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক আবদুল লতিফ হাক্কানী। তিনি বলেন, ‘আপনাদের প্রশাসনের সামনে দিয়ে সবাই টাকা নিয়ে চলে গেল। ব্যাংকে গেলে আমাদের মূল্য নেই, ৫ হাজার টাকার বেশি তুলতে দেয় না। কর্মকর্তারা হাত-পা ধরে যেন টাকা না তুলি। আমার টাকা আমি নেব, তাতে কার কী। অথচ এস আলমের মতো মানুষ হাজার হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে, তার কোনো জবাবদিহি নেই।’