বিজিএমইএর নতুন সভাপতি এস এম মান্নান, সহসভাপতি হলেন যাঁরা

বিজিএমইএর বর্তমান সভাপতি ফারুক হাসান, সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন ও নতুন পাঁচজন সহসভাপতির সঙ্গে নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম মান্নান (বাঁ থেকে পঞ্চম)। আজ রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর কার্যালয়েছবি: বিজিএমইএর সৌজন্যে

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সেহা ডিজাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম মান্নান। তাঁর নেতৃত্বাধীন পর্ষদ ২০২৪-২৬ সালে মেয়াদে দায়িত্ব পালন করবে।

রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনটির নতুন সভাপতিসহ সাতজন সহসভাপতি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। তবে নির্বাচিত সহসভাপতিদের মধ্যে পাঁচজনই বিদায়ী পর্ষদেও একই দায়িত্বে ছিলেন।

এবার বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রামের ওয়েল গ্রুপের পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম। জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডিজাইন টেক্সের এমডি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন তুসুকা ফ্যাশনসের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল, সাদমা ফ্যাশনওয়্যারের এমডি মো. নাছির উদ্দিন, বিটপি গ্রুপের এমডি মিরান আলী, টিম গ্রুপের এমডি আবদুল্লাহ হিল রাকিব এবং এইচকেসি অ্যাপারেলসের এমডি রকিবুল আলম চৌধুরী।

আগামী ৬ এপ্রিল নতুন পর্ষদ আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেবে, এমনটাই জানিয়েছেন বিজিএমইএর নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম মান্নান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশ–বিদেশে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পোশাকশিল্পকে সামনে এগিয়ে নিতে আমরা অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্ষদ গঠন করেছি। এর বাইরে সাধারণ সদস্যদের পাশাপাশি নির্বাচনে জয়ী হতে পারেননি, এমন কেউ যদি সংগঠনের জন্য কাজ করতে চান, তাহলে আমরা তাঁদের স্বাগত জানাব।’

এস এম মান্নান আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরি বাড়লেও পোশাকের দাম ক্রেতারা সেভাবে বাড়ায়নি। ফলে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। সামনে ঈদ। তাই দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাদের প্রথম বড় কাজ হবে শ্রমিকদের ঈদ বোনাস যথাযথভাবে পরিশোধ করা।’

বিজিএমইএর ২০২৪-২৬ সাল মেয়াদের ৩৫টি পরিচালক পদে ৯ মার্চ ঢাকা ও চট্টগ্রামে একযোগে ভোট গ্রহণ হয়। এতে ২ হাজার ৪৯৬ ভোটারের মধ্যে ৮৯ শতাংশ বা ২ হাজার ২২৬ জন ভোট দেন। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পায় এস এম মান্নানের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ। এই প্যানেলের ৩৫ জনই জয়ী হন। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৫১০ ভোট পান সম্মিলিত পরিষদের দলনেতা এস এম মান্নান। অন্য ৩৪ জন ১ হাজার ১৯৭ বা তার চেয়ে বেশি ভোট পান।

তাদের সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ফোরাম নামের প্যানেল। সেটির দলনেতা ফয়সাল সামাদসহ কেউই জয়ী হতে পারেননি। দলনেতা ভোট পান ৮৬৬টি। ঢাকা অঞ্চলের প্রার্থীদের ভোটপ্রাপ্তির হিসাবে তাঁর অবস্থান ২৯তম। সর্বশেষ ২০২১ সালের নির্বাচনেও ফোরামের দলনেতা এ বি এম সামসুদ্দিন হেরেছিলেন। যদিও ওই বছর ৩৫ পরিচালক পদের মধ্যে ফোরাম ১১টিতে জয়ী হয়েছিল। বাকি ২৪টি পদে জয়ী হওয়ায় সম্মিলিত পরিষদের নেতৃত্বে পর্ষদ গঠিত হয়।