সহজ শর্তে আবাসন ঋণ দিচ্ছে মেঘনা ব্যাংক

রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরের অধিকাংশ নাগরিকের মাসিক আয়ের একটা বড় অংশ চলে যায় বাড়িভাড়ায়। মাস মাস এতগুলো টাকা খরচের পরিবর্তে অনেকেই আগ্রহী হন ফ্ল্যাট কেনার ব্যাপারে। যাঁদের সঞ্চিত অর্থ থাকে, তাঁরা খুব সহজেই নিজেদের জন্য থাকার স্থায়ী জায়গাটুকুর ব্যবস্থা করতে পারেন।

ছোট হোক বা বড়—নিজের একটা ফ্ল্যাট হয়ে যায়। কিন্তু চাকরিজীবীদের অনেকেই নির্দিষ্ট আয় দিয়ে মাসের খরচের পর কুলিয়ে উঠতে পারেন না। তাই ফ্ল্যাট কেনার স্বপ্নটি শুধু পরিকল্পনাতেই থেকে যায়। ঋণ নিয়ে ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবলেও কীভাবে, কোথা থেকে এই ঋণ পাবেন, তা নিয়ে ভাবনায় পড়ে যান। সেই ভাবনা কিছুটা কমাতে মেঘনা ব্যাংক আছে আপনাদের পাশে।

সহজ শর্তে আবাসন ঋণ পেতে যোগাযোগ করতে পারেন নিকটস্থ মেঘনা ব্যাংকের শাখায়। অথবা আবাসন ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন মেঘনা ব্যাংকের ডিজিটাল পোর্টালে।

মেঘনা ব্যাংক আবাসন ঋণের বৈশিষ্ট্য

গ্রাহকদের সহজ শর্তে আবাসন ঋণ দিচ্ছে মেঘনা ব্যাংক। ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটির বৈশিষ্ট্যগুলো হলো—

· সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের সুবিধা।

· সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণসুবিধা।

· ঋণ শোধের মেয়াদ ১ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত।

· গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে আকর্ষণীয় ইন্টারেস্ট সুবিধা।

· ফ্ল্যাট কেনা, বাড়ি নির্মাণ, বাড়ি সম্প্রসারণ, বাড়ি মেরামতের জন্য ঋণ প্রদান।

· নতুন ঋণ দ্বারা বিদ্যমান ঋণ পরিশোধ করার অর্থাৎ, টেকওভারের ব্যবস্থা।

· বিস্তৃত এলাকায়ও এই ঋণসুবিধা পাবেন গ্রাহকেরা।

· ন্যূনতম মাসিক আয় এবং ন্যূনতম অভিজ্ঞতার বিপরীতে এই ঋণসুবিধা পাবেন গ্রাহকেরা।

যেসব কারণে ঋণ পাবেন গ্রাহকেরা

মেঘনা ব্যাংকের আবাসন ঋণের পরিসর বিস্তৃত। এর ফলে গ্রাহকদের স্বপ্নের বাড়ি বা ফ্ল্যাট তৈরির কাজ এগিয়ে চলে নির্ভাবনায়, মসৃণভাবে। গ্রাহকের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য মেঘনা ব্যাংক সহজ ও দ্রুত প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে থাকে। যেসব ক্ষেত্রের জন্য এই প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারবেন—

· আবাসিক ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট কেনা বা তৈরির জন্য।

· আবাসিক ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট সংস্কার ও সম্প্রসারণের জন্য।

· আধা পাকা বাড়ি পুনর্নির্মাণ বা সংস্কারের জন্য। এ ক্ষেত্রে ঋণের পরিমাণ হবে ৭৫ লক্ষ টাকা। অ্যাপার্টমেন্ট বা বিল্ডিং সংস্কারের জন্য ঋণের পরিমাণ হবে ১ কোটি টাকা এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত।

· এই ঋণপ্রাপ্তির বয়স ২৫ বছর থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্রে অবসর গ্রহণ বা সর্বোচ্চ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত।

· নতুন ঋণের জন্য প্রসেসিং ফির পরিমাণের ০.৫ শতাংশ।

· বিদ্যমান এমজিবিএল আবাসন ঋণের জন্য টপ আপ বা বৃদ্ধির জন্য টপ আপের পরিমাণের ০.৫ শতাংশ।

· সম্পত্তির মূল্যের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণের সুবিধা।

যাঁরা পাবেন ঋণ

যেকোনো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেতনভোগী ব্যক্তি, পেশাজীবী, বাড়ির মালিক, স্বনির্ভর পেশাদার, ব্যবসায়ী, মেরিনার, ল্যান্ড লর্ড এবং ওয়েজ আর্নাররা এ ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।