এসএমই খাত শুধু ব্যবসা নয়, দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড: শিল্প উপদেষ্টা
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, দেশে সত্যিকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা (এসএমই) খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এসএমই খাত শুধু ব্যবসা নয়, দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এসএমই উদ্যোক্তারা তাঁদের লাভের ৩০ শতাংশই পুনরায় বিনিয়োগ করেন, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
আজ বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে এসএমই নীতিমালা ২০২৫–এর খসড়া নিয়ে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে এসএমই ফাউন্ডেশন ও আইএলও বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এক পরামর্শ সভায় শিল্প উপদেষ্টা এ কথা বলেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুজ্জামান ও রশিদুল হাসান; এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ডিএমডি নাজিম হাসান সাত্তার এবং আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন।
অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মুসফিকুর রহমান জানান, দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় দেড় লাখ সিএমএসএমই উদ্যোক্তাকে সরাসরি সেবা দিচ্ছে এসএমই ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি ১১ হাজারের বেশি উদ্যোক্তাকে সহজ শর্তে ও স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ করেছে সংস্থাটি।
মুসফিকুর রহমান বলেন, এসএমই নীতিমালা ২০২৫ বাস্তবায়িত হলে দেশের লাখো সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা উপকৃত হবেন। পাশাপাশি তাঁরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, খসড়া এসএমই নীতিমালা ২০২৫–এর ঢাকা ও বিভাগীয় শহরে এসএমই ফাউন্ডেশন ও আইএলও বাংলাদেশের উদ্যোগে অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ সভা থেকে পাওয়া সুপারিশগুলো শিগগিরই শিল্প মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।
আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন জানান, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় এসএমই খাতের পূর্ণ সম্ভাবনা ও সক্ষমতাকে কাজে লাগানো প্রয়োজন। বর্তমানে আইএলও বাংলাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে ৩০ লাখ ডলারের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এসএমই ফাউন্ডেশন জানায়, বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান প্রায় ৩২ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুসারে, দেশে ৭৮ লাখের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি মোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ৯৯ শতাংশের বেশি। শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৮৫ শতাংশ হয় এসএমই খাতে। এই খাতে আড়াই কোটির বেশি জনবল কর্মরত।