দেশে অ্যাডিডাসের প্রথম বিক্রয়কেন্দ্র চালু হচ্ছে

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ফ্ল্যাগশিপ স্টোর চালু করতে যাচ্ছে বিশ্বখ্যাত জার্মান স্পোর্টসওয়্যার ব্র্যান্ড অ্যাডিডাস। ফ্র্যাঞ্চাইজি পার্টনার ডিবিএল গ্রুপের সহযোগিতায় বিক্রয়কেন্দ্রটি চালু করছে অ্যাডিডাস। এর আগে ডিবিএলের হাত ধরে পুমা, নাইকি ও লিভাইসের বিক্রয়কেন্দ্র চালু হয়েছে বাংলাদেশে।

আগামী শনিবার বিকেলে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান অ্যাভিনিউতে অ্যাডিডাসের বিক্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে বলে জানান ডিবিএল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে বিক্রয়কেন্দ্রটি চালু হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে অ্যাডিডাসের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ঢাকায় এসে আনুষ্ঠানিকভাবে এটির উদ্বোধন করবেন।

ডিবিএলের কর্মকর্তারা জানান, চার হাজার বর্গফুট আয়তনের অ্যাডিডাসের বিক্রয়কেন্দ্রটিতে নারী ও পুরুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের জুতা ও তৈরি পোশাকের পাশাপাশি গ্রাহকের প্রয়োজনমতো স্পোর্টস ও লাইফস্টাইল পণ্য মিলবে।

ডিবিএল গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ডিবিএল লাইফস্টাইল হচ্ছে অ্যাডিডাসের আনুষ্ঠানিক ফ্র্যাঞ্চাইজি পার্টনার। ডিবিএল লাইফস্টাইলের হেড অব অপারেশনস রেজওয়ান হাবীব বলেন, অ্যাডিডাসের বিক্রয়কেন্দ্রটি ফ্ল্যাগশিপ হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্র্যান্ডটির বিক্রয়কেন্দ্রে যেসব পণ্য থাকে, এখানেও সেসব থাকবে।

জার্মানিভিত্তিক অ্যাডিডাসের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দুই হাজারের বেশি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। তাদের কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৫৯ হাজার। গত বছর তারা ৩১ কোটি ১০ লাখ জোড়া জুতা, ৩২ কোটি ৮০ লাখ পোশাক এবং ১১ কোটি ৬০ লাখ বিভিন্ন ধরনের খেলার সামগ্রী উৎপাদন করেছে। গত বছর অ্যাডিডাসের বিক্রি ছিল ২ হাজার ১৪০ কোটি ইউরো।

ডিবিএল গ্রুপের হাত ধরে ২০১৯ সালের এপ্রিলে বনানীর ১১ নম্বর সড়কে পুমার প্রথম বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন হয়। পরবর্তী সময়ে ঢাকার ধানমন্ডি, বসুন্ধরা শপিং সিটি, গুলশান ইউনিমার্ট এবং চট্টগ্রামে বিক্রয়কেন্দ্র চালু হয়। বনানীতে গত বছরের জুলাইয়ে আরেক বৈশ্বিক স্পোর্টসওয়্যার ব্র্যান্ড নাইকি এবং গত মাসে মার্কিন ব্র্যান্ড লিভাইস বিক্রয়কেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়।

একের পর এক বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের বিক্রয়কেন্দ্র চালু করার পেছনের কারণ জানতে চাইলে ডিবিএল গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ রহিম বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় হয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশের প্রতি বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে। তারা বাংলাদেশে আসতে আগ্রহী। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের বিক্রয়কেন্দ্র চালু করার মধ্য দিয়ে বিশ্বদরবারে ডিবিএলের ব্র্যান্ডিং হচ্ছে। অভিজ্ঞতা অর্জন করছি আমরা। এতে ভবিষ্যতে নিজেদের ব্র্যান্ড চালু করা সহজ হবে।

ইতিমধ্যে চালু হওয়া পুমা, নাইকি ও লিভাইসের বেচাবিক্রি কেমন জানতে চাইলে এম এ রহিম বলেন, মোটামুটি ভালো। তবে পণ্য আমদানিতে ১০০-১২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। উচ্চ শুল্কের কারণে মুনাফা কম হয়।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এম এ রহিম বলেন, এখন পর্যন্ত ব্র্যান্ডগুলো বাংলাদেশে মাঝারি দামের পণ্য পাঠাচ্ছে। নাইকি পরের চালানে আরেকটু দামি পণ্য পাঠাবে। তিনি আরও বলেন, আপাতত ঢাকায় অ্যাডিডাসের একটি বিক্রয়কেন্দ্র থাকবে। ভালো সাড়া পেলে পরে চট্টগ্রামে আরেকটি বিক্রয়কেন্দ্র চালু করা হতে পারে।