আগস্ট মাসে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে
ফাইল ছবি

দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎসের মধ্যে প্রবাসী আয় গত আগস্টে কমেছে, যদিও পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় আছে। গত আগস্টে ৪৭৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের আগস্টের তুলনায় ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বেশি।

গত মাসে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি ইতিবাচক ধারায় আছে। এই সময়ে রপ্তানি হয়েছে ৯৩৭ কোটি ৫১ লাখ ডলারের পণ্য। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ সোমবার পণ্য রপ্তানির এই হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, তৈরি পোশাক ছাড়াও জুতা, প্লাস্টিক পণ্য ও হস্তশিল্পের রপ্তানি চলতি অর্থবছরে বেড়েছে। অন্যদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, বাইসাইকেলসহ প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।

ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে ৭৯৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত বছরের তুলনায় ১২ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাক খাতের মধ্যে নিট পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ১৭ শতাংশ আর ওভেন পোশাকের প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

চলতি অর্থবছর এখন পর্যন্ত তৈরি পোশাকের পর সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য—১৯ কোটি ডলার। এই রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ কম। তারপর কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের রপ্তানির পরিমাণ ১৭ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। এই খাতের রপ্তানি কমেছে দশমিক ৮০ শতাংশ।

চলতি অর্থবছর সরকার পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬ হাজার ২০০ কোটি ডলার। গত অর্থবছর পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলার। এর মধ্যে তৈরি পোশাক খাত থেকে এসেছিল ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলার।

প্রসঙ্গত, দেশে গত আগস্টে সব মিলিয়ে প্রায় ১৬০ কোটি মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৫৬ শতাংশ কম। গত বছরের আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৪ কোটি ডলার।