রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চায় বিজিএমইএ

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। গতকাল রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএর উত্তরা কার্যালয়ে।ছবি: বিজিএমইএর সৌজন্যে

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। কেউ ব্যবসাকে বিরক্ত করবে না।’

আগামী নভেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ বিষয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ফারুক হাসান। রাজধানীর উত্তরায় সংগঠনটির প্রধান কার্যালয়ে গতকাল শনিবার এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহসভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের (বিএই) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজ উদ্দিন প্রমুখ।

বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, ‘দুই মাস ধরে আমরা লক্ষ করছি, ক্রয়াদেশ কমছে। আমাদের অন্যতম রপ্তানিবাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি ও সমূহ মন্দার কারণে আগামী মৌসুমের জন্য ক্রয়াদেশ ২০-৩০ শতাংশ কম এসেছে। ফলে আগামী মাসগুলোতে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হতে পারে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে পোশাক রপ্তানিতে ২৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করতে পারলেই আমরা খুশি হব।’

গ্যাস-বিদ্যুতের সংকট নিয়ে ফারুক হাসান বলেন, এতে পোশাকশিল্পে ব্যয় দুভাবে বাড়ছে। বিদ্যুতের অপ্রতুলতার কারণে কারখানাগুলোকে ডিজেল জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন চালাতে হচ্ছে। এতে উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।

এ সময় রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানায় নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি করেন বিজিএমইএর সভাপতি। একই সঙ্গে উৎসে কর ১ শতাংশের পরিবর্তে গত অর্থবছরের মতো দশমিক ৫০ শতাংশ করার কথা বলেন তিনি।

গত চার দশকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের অবদান আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে বিজিএমইএ ও বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ যৌথভাবে সাত দিনব্যাপী মেড ইন বাংলাদেশ উইক আয়োজন করতে যাচ্ছে। পোশাকশিল্পকে নিয়ে এ ধরনের আয়োজন এবারই প্রথম। এসব তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সাত দিনের এই আয়োজনের মাধ্যমে তৈরি পোশাকশিল্পকে ব্র্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি করোনা মহামারি থেকে যে আমরা ঘুরে দাঁড়াচ্ছি এবং শিল্পকে টেকসই করতে কাজ করছি, সেই বার্তাটি বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। ১২ নভেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আয়োজনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটিতে হবে মূল আয়োজন। সেখানে ৩৭তম আইএফ ওয়ার্ল্ড ফ্যাশন কনভেনশন, তিন দিনব্যাপী ঢাকা অ্যাপারেল সামিট, বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সপোজিশন, দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো, ফ্যাশন শোসহ বিভিন্ন আয়োজন থাকবে।