বন্দরের নিরাপত্তা দেখতে আসছে যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ড

চার সদস্যের প্রতিনিধিদল তিন দিন বন্দর ও বন্দরসহায়ক স্থাপনার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবে।

চট্টগ্রাম বন্দর
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

চট্টগ্রাম বন্দর ও সহযোগী স্থাপনা পরিদর্শনে তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের একটি প্রতিনিধি দল। যুক্তরাষ্ট্রের ‘আন্তর্জাতিক বন্দর নিরাপত্তা কর্মসূচি’র আওতায় এসব স্থাপনা পরিদর্শন করার কথা দলটির। মূলত এসব স্থাপনার নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখে ঘাটতি থাকলে তা বাস্তবায়নের জন্য পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন প্রতিনিধিদলের সদস্যরা।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের চার সদস্যের দলটির আজ রোববার দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সোম ও মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বন্দর, জ্বালানি তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি ও কনটেইনার ডিপোসহ কয়েকটি স্থাপনা পরিদর্শন করে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরবেন এ দলের সদস্যরা।

যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের সদস্যরা পরিদর্শন করে নানা পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। সর্বশেষ পরিদর্শনে যেসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছিলেন, তার বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়েছে।
এম শাহজাহান, চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল

সাধারণত দুই বছর পরপর বন্দর ও বন্দর সহযোগী স্থাপনা পরিদর্শনে আসে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের প্রতিনিধিদল। সর্বশেষ ২০১৯ সালে আনুষ্ঠানিক পরিদর্শনে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে। করোনার কারণে এবার এক বছর দেরিতে এই পরিদর্শনে আসছে প্রতিনিধিদলটি।

যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশে ‘আন্তর্জাতিক বন্দর নিরাপত্তা কর্মসূচি’র আওতায় বন্দর ও বন্দরসহায়ক স্থাপনার নিরাপত্তাব্যবস্থা খতিয়ে দেখে। এ ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থার নিরাপত্তাব্যবস্থা-সংক্রান্ত আইএসপিএস কোড (জাহাজ ও বন্দর স্থাপনার নিরাপত্তাঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম) বাস্তবায়নকে প্রাধান্য দেয় তারা।

সমুদ্রে নাবিকদের জীবনের নিরাপত্তাবিষয়ক কনভেনশন সেফটি অব লাইফ অ্যাট সি বা সোলাসের আওতায় আইএসপিএস কোড রয়েছে। ২০০৪ সালের ১ জুলাই থেকে এই কোড বাস্তবায়ন শুরু হয় বাংলাদেশেও।

চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ডের সদস্যরা পরিদর্শন করে নানা পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। সর্বশেষ পরিদর্শনে যেসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছিলেন, তার বেশির ভাগই বাস্তবায়ন হয়েছে। রপ্তানি কনটেইনার স্ক্যানিংয়ের জন্য স্ক্যানার কেনার প্রক্রিয়া চলছে। বন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।