পরিকল্পিত নগরায়ণে আস্থা
পরিকল্পিত ও টেকসই নগরায়ণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় আবাসন খাতে আস্থার প্রতীক হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করেছে কম্প্রিহেনসিভ হোল্ডিংস লিমিটেড। ২০০৫ সালে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গুণগত নির্মাণ, সময়মতো প্রকল্প হস্তান্তর এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ১১১টির বেশি আবাসিক ও বাণিজ্যিক প্রকল্প সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ৪২টির বেশি প্রকল্প নির্মাণাধীন, যার মধ্যে রয়েছে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও বৃহৎ কন্ডোমিনিয়াম প্রকল্প।
কম্প্রিহেনসিভের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (উদ্ভাবন ও পরিকল্পনা) কাজী সামসুল আলম বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে রাজউকের ড্যাপ ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসরণ করা হয়েছে। সময়মতো ফ্ল্যাট হস্তান্তর, নির্মাণ মান বজায় রাখা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আধুনিক স্থাপত্য পরিকল্পনার পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ও টেকসই নকশার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা।
প্রতিষ্ঠানটির প্রকল্পগুলোর মধ্যে সিদ্ধেশ্বরীতে কম্প্রিহেনসিভ আমিনাবাদ হাউজিং ৮৮.২৪ কাঠার বৃহৎ প্রকল্প, মিরপুরের কাজীপাড়ায় ভিক্টোরিয়াস পার্ক, বসুন্ধরা আবাসিকের এ ব্লকে প্যালেস ইনামোরি ও ধানমন্ডির সাতমসজিদ রোডে মোনার্ক সেন্টার (বাণিজ্যিক প্রকল্প)। আবাসিক প্রকল্পগুলোর আয়তন ১ হাজার ১৭৫ থেকে ২ হাজার ৩৭০ বর্গফুট পর্যন্ত এবং বাণিজ্যিক ইউনিটগুলোর ৪ হাজার ৪০৭ থেকে ৮ হাজার ৮১৪ বর্গফুট।
প্রকল্পভেদে আবাসিক ফ্ল্যাটের দাম প্রতি বর্গফুট ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা। বর্তমানে ফ্ল্যাট বিক্রির হার প্রায় ৪৫ শতাংশ। সিদ্ধেশ্বরীর কম্প্রিহেনসিভ আমিনাবাদ হাউজিং প্রকল্পটি যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের (ইউএসজিবিসি) অধীন লিড গ্রিন বিল্ডিং প্রোগ্রামে নিবন্ধিত এবং এটি লিড গোল্ড প্রিসার্টিফিকেশন পেয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি প্রকল্পেই আধুনিক সুযোগ-সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। ভবনগুলো ভূমিকম্পসহনশীল ও নান্দনিক নকশায় নির্মিত হচ্ছে।
কাজী সামসুল আলম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (উদ্ভাবন ও পরিকল্পনা), কম্প্রিহেনসিভ