১১ বছরে হোটেল ও রেস্তোরাঁ বেড়েছে ১ লাখ ৬১ হাজার

ঢাকার একটি রেস্তোরাঁ
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

গত ১১ বছরে দেশে হোটেল ও রেস্তোরাঁর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১ লাখ ৬১ হাজার। ২০০৯-১০ সালে সংখ্যাটি ছিল ২ লাখ ৭৫ হাজার। গত বছর হোটেল ও রেস্তোরাঁর সংখ্যা বেড়ে ৪ লাখ ৩৬ হাজার হয়েছে।

এদিকে হোটেল ও রেস্তোরাঁর পাশাপাশি সেখানে কর্মরত মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। ২০০৯-১০ সালে হোটেল ও রেস্তোরাঁয় কর্মরত ছিলেন ৯ লাখ ৪ হাজার মানুষ। গত বছর তা বেড়ে ২০ লাখ ৭২ হাজার হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা ১৯ লাখ ৭০ হাজার ৯৭০। বাকি ১ লাখ ৭৩৭ জন নারী। ২০১৯-২০ সালে এই খাতে নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল ৪৭ হাজার। সেই হিসাবে ১১ বছরে নারী কর্মীর সংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো (বিবিএস) পরিচালিত হোটেল ও রেস্টুরেন্ট সার্ভে-২০২১–এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। জিডিপিতে এ খাতের অবদান জানতেই জরিপটি করা হয়েছে। একই সঙ্গে জরিপে মোট বিক্রি হওয়া দ্রব্য ও সেবাজাতীয় পণ্যের মূল্য নিরূপণ, মোট আয়, কাঁচামালের খরচ, পরিচালন ব্যয় ধরন অনুযায়ী কর্মসংস্থান ব্যয়সহ বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার এ জরিপের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে বিবিএস।

অপেক্ষাকৃত কম পুঁজিতে বাংলাদেশে হোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসা লাভজনক ও জনপ্রিয় হওয়ার মূল কারণ। সে কারণেই ঢাকা নয়, জেলা ও উপজেলাতেও প্রতিনিয়ত নতুন নতুন হোটেল-রেস্তোরাঁ গড়ে উঠছে। সে কারণে দেশের অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান বাড়ছে।

ঢাকার একটি রেস্তোরাঁ
ফাইল ছবি: প্রথম আলো
আরও পড়ুন

বিবিএসের জরিপ বলছে, গত এক দশকে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে মূল্য সংযোজন বেড়ে হয়েছে আট গুণ। এক দশক আগে ২০০৯-১০ অর্থবছরে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে মূল্য সংযোজন হয়েছিল মাত্র ১১ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা। আর সর্বশেষ ২০১৯-২০ অর্থবছরে হোটেল-রেস্তোরাঁ খাত থেকে মূল্য সংযোজন হয়েছে ৮৭ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা।

চলতি বছরের ২৭ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত দৈবচয়নের ভিত্তিতে দেশের ৬ হাজার ৭৩৪টি হোটেল-রেস্তোরাঁর ওপর জরিপটি পরিচালনা করে বিবিএস। বিবিএসের ১৫১ জন গণনাকারী ও ৮০ জন সুপারভাইজার মাঠপর্যায় থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। ২০১৩ সালের অর্থনৈতিক শুমারি ও ২০১৯ সালের বিজনেস ডিরেক্টরি থেকে তথ্য নিয়ে জরিপটি করা হয়েছে।