এখন বাংলাদেশেই পাওয়া যাচ্ছে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি বিওয়াইডি

বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈদ্যুতিক গাড়ি (ইভি) বিক্রি শুরু করেছে চীনের সুপরিচিত গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি বিওয়াইডি। এ লক্ষ্যে কোম্পানিটি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় প্রথম নিজস্ব বিক্রয়কেন্দ্র চালু করেছে। দেশে বিওয়াইডির পরিবেশক হয়েছে সিজি-রানার বাংলাদেশ লিমিটেড।

আজ শনিবার তেজগাঁওয়ে বিওয়াইডির বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, রানার গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসাইন প্রমুখ।

সিজি-রানারের পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। নেপালের চৌধুরী গ্রুপ ও বাংলাদেশের রানার গ্রুপের যৌথ উদ্যোগ সিজি-রানার বাংলাদেশ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক যানের ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায়। এ ছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প অর্জনের লক্ষ্য রয়েছে। উভয় লক্ষ্য অর্জনে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে মানুষের বৈদ্যুতিক গাড়ি কেনার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আমি দেশে বিওয়াইডির প্রথম বিক্রয়কেন্দ্র চালুর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।

সিজি-রানারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় নিউ এনার্জি ভেহিকেল (এনইভি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বিওয়াইডি। কোম্পানিটি বিক্রয়কেন্দ্র চালু করায় দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে নতুন যুগের সূচনা হয়েছে। এর ফলে পরিবেশসচেতন মানুষেরা স্বাচ্ছন্দ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারবেন। সরকার প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর গাড়ির পরিবর্তে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে কাজ করছে। তবে স্থানীয় বাজারে চাহিদার তুলনায় ইভির সরবরাহ এখনো শুরুর দিকে। এ অবস্থায় বিওয়াইডির নতুন বিক্রয়কেন্দ্র দেশে ইভির ব্যবহার বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।

বিওয়াইডির নতুন চালু হওয়া বিক্রয়কেন্দ্রটি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সরণির হক সেন্টারে অবস্থিত। ৮ হাজার ৪০০ বর্গফুটের বিক্রয়কেন্দ্রটিতে একসঙ্গে পাঁচটি গাড়ি প্রদর্শনের ব্যবস্থা রয়েছে।

সিজি-রানার জানিয়েছে, প্রাথমিক অবস্থায় বিওয়াইডি সিল (সেডান) মডেলের দুটি সংস্করণের গাড়ি বিক্রি করা হবে। এর মধ্যে একটি সংস্করণ হচ্ছে ৫৭০ কিলোমিটার (রিয়ার ড্রাইভ) বর্ধিত মাইলেজ সুবিধাসহ প্রিমিয়াম ভেরিয়েন্ট; অপরটি ৫২০ কিলোমিটার এডব্লিউডি (অল-হুইল ড্রাইভ) মাইলেজের পারফরম্যান্স ভেরিয়েন্ট।

বিওয়াইডি সিল গাড়িতে ব্যবহার করা হয়েছে বিওয়াইডির নিজস্ব উদ্ভাবিত নিরবচ্ছিন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এর মধ্যে রয়েছে ই-প্ল্যাটফর্ম ৩.০, উদ্ভাবনী সিটিবি (সেল-টু-বডি) প্রযুক্তি, ব্লেড ব্যাটারি ও আইটিএসি (ইন্টেলিজেন্ট টর্চার অ্যাডাপশন কন্ট্রোল)। এ ছাড়া রয়েছে স্ল্যান্টেড রুফলাইন, প্যানারোমিক গ্লাস রুফ, শর্ট রিয়ার ডেক, ওয়াটারড্রপ মিরর, ওয়েভ ওয়েস্টলাইন এবং এলইডি লাইট।

বিক্রয়কেন্দ্রে গিয়ে আগ্রহী ক্রেতারা বিওয়াইডি গাড়ির অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। ক্রেতাদের সুবিধার্থে বিক্রয়কেন্দ্রে দুটি চার্জিং স্টেশন (এসি ও ডিসি) রয়েছে। বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে ভবিষ্যতে আরও বিক্রয়কেন্দ্র এবং পরিষেবা কেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সিজি রানার।