বিলিয়ন ডলার ক্লাবে দেশের পাঁচ শিল্পগোষ্ঠী

কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে বিলিয়ন ডলার ব্যয় ছাড়িয়েছে এসব গ্রুপের। এতে উৎপাদন বাড়ছে। কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। প্রস্তুত পণ্যের আমদানিনির্ভরতা কমছে।

বিশ্ববাজারে পণ্যের দামের উত্থান-পতন আর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও এগিয়ে যাচ্ছে দেশের বেসরকারি খাত। নানা সংকটেও কাঁচামাল আমদানি করে উৎপাদন সচল রাখছে কোম্পানিগুলো। আবার ব্যবসা সম্প্রসারণে নতুন বিনিয়োগও করছে। কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে ব্যয় বিলিয়ন ডলার বা শতকোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে বড় একাধিক শিল্প গ্রুপের। বিলিয়ন ডলারের আমদানি ক্লাবে শিল্প গ্রুপের সংখ্যা বেড়ে এখন পাঁচটিতে উন্নীত হয়েছে।

এই পাঁচটি শিল্প গ্রুপ হলো মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি (এমজিআই), আবুল খায়ের গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, বিএসআরএম ও বসুন্ধরা গ্রুপ। এই পাঁচটি গ্রুপের সম্ভাব্য বার্ষিক লেনদেন এক লাখ কোটি টাকার বেশি। এই পাঁচটি গ্রুপে ১ লাখ ৬৮ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

শিল্প গ্রুপগুলোর তথ্য, বছর তিনেক আগে দুটি শিল্প গ্রুপের পণ্য আমদানি বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। এই তালিকা বড় হয়ে এখন পাঁচটিতে উন্নীত হয়েছে। তালিকায় শিল্প গ্রুপের সংখ্যা বাড়ছে মূলত দুই কারণে। এক. বাজার দ্রুত বড় হওয়ায় শিল্প গ্রুপগুলো কারখানা সম্প্রসারণ বা নতুন বিনিয়োগ করছে। এতে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি বেড়েছে। দুই. ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশ্ববাজারে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতির আমদানিমূল্য ছিল বাড়তি।

ব্যক্তি খাতের এসব শিল্প গ্রুপ তিন থেকে সাত দশক ধরে ব্যবসা করছে। তবে বড় ধরনের সম্প্রসারণে গেছে মূলত গত ৫-১০ বছরে। বিলিয়ন ডলার ক্লাবের কোম্পানিগুলো শিল্পের বহু খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে, বেশির ভাগই সক্রিয় উৎপাদন ও সেবা খাতে। উৎপাদিত পণ্যের সিংহভাগ স্থানীয়ভাবে বাজারজাত হচ্ছে। পাশাপাশি রপ্তানিও করছে তারা। তাদের হাত ধরে আমদানির প্রতিস্থাপক কারখানা হয়েছে এ দেশে। এতে বিদেশ থেকে প্রস্তুত পণ্যের আমদানি কমেছে। কাঁচামালের আমদানি বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কর্মসংস্থান।

জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রথম আলোকে বলেন, একেকটি শিল্প গ্রুপের বিলিয়ন ডলার কাঁচামাল-যন্ত্রপাতি আমদানি শিল্পায়নে ইতিবাচক ঘটনা। প্রাথমিক ও মধ্যবর্তী কাঁচামাল আমদানি করে প্রস্তুত পণ্য তৈরির ফলে বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। শিল্প গ্রুপগুলো মূল্য সংযোজনের দিকে নজর দেওয়ায় শিল্পায়নের গভীরতাও বাড়ছে। এ ছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে চাহিদা মেটাতে বড় ভূমিকা রাখছে তারা।

গোলাম মোয়াজ্জেম আরও বলেন, শতকোটি ডলারের শিল্প গ্রুপের সাপ্লাই চেইনে (পণ্য সরবরাহব্যবস্থায়) ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাজের সুযোগ তৈরি হয়। বড় শিল্প গ্রুপের উৎপাদন নেটওয়ার্কে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের যত বেশি সংযুক্ত করা যাবে, ততই শিল্পের পরিসর বাড়বে। প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও বাড়বে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের। এ জন্য বড় গ্রুপগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। দরকার সরকারের নীতিসহায়তাও। আবার পণ্যবাজারে একক নির্ভরতার কারণে যাতে প্রতিযোগিতার পরিবেশ ব্যাহত না হয় এবং ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে দিকেও মনোযোগ দেওয়া উচিত।

শীর্ষ পাঁচ শিল্প গ্রুপ

বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় গ্রুপগুলোর মূল প্রতিষ্ঠানের আমদানির তথ্য নিয়ে এই তালিকা তৈরি করেছে প্রথম আলো। শীর্ষস্থানীয় গ্রুপের যৌথ বিনিয়োগ ও সহযোগী প্রতিষ্ঠানের হিসাব এ তালিকায় ধরা হয়নি। গত অর্থবছরের বিনিময় হিসাবের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ধরা হয়েছে ৮৬ টাকা ৩০ পয়সা। এতে এক বিলিয়ন ডলারে টাকার অঙ্কে দাঁড়ায় ৮ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। ডলারের বর্তমান বাজারমূল্যে হিসাব করলে বিলিয়ন ডলারের এখনকার বিনিময়মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)

শিল্পের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানির তালিকায় বিলিয়ন ডলার ক্লাবে এখন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)। করোনার দুঃসময়, অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা—কোনো কিছুই গ্রুপটির নতুন বিনিয়োগে বাধা হতে পারেনি। এতে কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানিতে গত অর্থবছরে সবাইকে ছাড়িয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে গ্রুপটি।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে, দেশের বৃহৎ এই গ্রুপ গত অর্থবছরে প্রায় ২৭০ কোটি ডলারের ৮২ লাখ টন পণ্য আমদানি করেছে, যেগুলোর সিংহভাগই শিল্পের কাঁচামাল। শিল্পের খুব কম খাতই রয়েছে, যেখানে এমজিআই বিনিয়োগ করেনি। প্লাস্টিকশিল্পের কাঁচামাল পিভিসি, এভিয়েশন, সিরামিকস, রাসায়নিক, নিত্যব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য প্রক্রিয়াজাত, সিমেন্ট, কাগজ, জাহাজ নির্মাণ, সমুদ্রগামী জাহাজ পরিচালনা, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি), ইস্পাত কাঠামো, বিদ্যুৎ, প্রাণিখাদ্য, মোড়কজাতকরণ, অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বহু খাতেই বিনিয়োগ রয়েছে মেঘনা গ্রুপের। ফ্রেশ ব্র্যান্ডসহ ছয়টি ব্র্যান্ড নামে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য বাজারজাত হচ্ছে।

গ্রুপটির বিনিয়োগে সর্বশেষ সংযোজন নারায়ণগঞ্জের মেঘনা ঘাটে নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে মেঘনা পিভিসি লিমিটেড কারখানা। এই কারখানায় বিনিয়োগ হয়েছে ৪০ কোটি ডলার, যা বাংলাদেশি কোনো কোম্পানির এক কারখানায় সর্ববৃহৎ বিনিয়োগ। গত অর্থবছরে এই কারখানার কাঁচামাল আমদানি শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক উৎপাদনের প্রস্তুতি চলছে। এই কারখানায় মূলত প্লাস্টিকপণ্য তৈরির কাঁচামাল পিভিসি উৎপাদিত হবে, যা দেশে প্রথম। এতে আমদানিনির্ভরতা কমবে।

সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পে খুব কম সময়ে দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে উঠে এসেছে গ্রুপটি। গত অর্থবছরে গ্রুপটি ছয়টি বড় জাহাজ কিনে সাগরে ভাসিয়েছে, যেখানে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১৪ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে গ্রুপটির বহরে সমুদ্রগামী জাহাজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮টিতে। এ বছর তা ২২টিতে উন্নীত হবে।

উদ্যোক্তা মোস্তফা কামালের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় মেঘনা গ্রুপের। ১৯৭৬ সালে কামাল ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। তাঁর হাত ধরেই এখন মেঘনা গ্রুপের কারখানার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮টিতে। কর্মসংস্থান হয়েছে ৩৮ হাজার মানুষের। প্রায় ২৫টি দেশে রপ্তানি হয় এমজিআইয়ের পণ্য।

সিটি গ্রুপ

দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রধান পণ্যগুলোর ৩০ শতাংশ বাজারজাত হচ্ছে সিটি গ্রুপের হাত ধরে। গ্রুপটির আমদানির তালিকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তৈরির প্রাথমিক ও মধ্যবর্তী কাঁচামালের পরিমাণই বেশি। গ্রুপটি গত অর্থবছরে প্রায় ২১৮ কোটি ডলারের ৩৪ লাখ টন পণ্য ও যন্ত্রপাতি আমদানি করেছে। এতে বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি ক্লাবে গ্রুপটির অবস্থান দ্বিতীয়। বর্তমানে ভোজ্যতেল ও চিনি পরিশোধন, আটা-ময়দার কারখানা, চা-বাগান, জাহাজ নির্মাণ, তৈলবীজ মাড়াই কারখানা, প্যাকেজিং, অর্থনৈতিক অঞ্চল, জাহাজ পরিচালনাসহ নানা খাতের ব্যবসা রয়েছে সিটি গ্রুপের। গ্রুপটির প্রধান ব্র্যান্ড ‘তীর’।

সিটি গ্রুপের দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে সিটি ইকোনমিক জোন এবং মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় হোসেন্দী ইকোনমিক জোন নামের অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে গ্রুপটি। অর্থনৈতিক অঞ্চল দুটিতে নতুন নতুন কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে। গ্রুপটি চলতি বছর জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জে রূপসী বাংলা ফ্লাওয়ার মিল নামে আটা-ময়দা ও সুজির বৃহৎ কারখানা চালু করেছে। উদ্যোক্তা ফজলুর রহমানের হাত ধরে ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু হয় সিটি গ্রুপের। গত দুই দশকে গ্রুপটির বহরে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন শিল্পপ্রতিষ্ঠান।

আবুল খায়ের গ্রুপ

বিলিয়ন ডলার ক্লাবের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রামের আবুল খায়ের গ্রুপ। গ্রুপটি মূলত ভারী শিল্পে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সিমেন্ট, রড, ঢেউটিন, সিরামিকস, টোব্যাকো ও নিত্যব্যবহার্য পণ্য প্রক্রিয়াজাত কারখানায় বিনিয়োগ রয়েছে গ্রুপটির। প্রতিটিতে বাজারে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে গ্রুপটি।

গত অর্থবছরে আবুল খায়ের গ্রুপ ১৭৫ কোটি ডলারের ৮৫ লাখ টন পণ্য ও যন্ত্রপাতি আমদানি করেছে। গ্রুপটির আমদানির তালিকায় পরিমাণে শীর্ষে রয়েছে সিমেন্টের কাঁচামাল। গ্রুপটির শাহ সিমেন্ট কারখানা বিশ্বের ৭৯তম বড় কারখানার স্বীকৃতি পেয়েছে। গ্লোবাল সিমেন্ট ম্যাগাজিনের ২০২১ সালের ডিসেম্বর সংখ্যায় এই ক্রমতালিকা প্রকাশ করা হয়। সিমেন্ট ছাড়াও ঢেউটিন, স্যানিটারি পণ্যে শীর্ষে রয়েছে আবুল খায়ের গ্রুপ। আবার রড উৎপাদন ও চা বাজারজাতে দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে গ্রুপটি।

আবুল খায়ের গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়েছিল আবুল খায়েরের হাত ধরে। ১৯৫০ সালে মুদিদোকান দিয়ে যাত্রা শুরু হওয়া এই গ্রুপকে শীর্ষে নিয়ে গেছেন আবুল খায়েরের সন্তানেরা। গ্রুপটির হাত ধরে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫০ হাজার মানুষের। প্রতিবছর সরকারকে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব দিচ্ছে গ্রুপটি।

বিএসআরএম গ্রুপ

শুধু একটি খাতের কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করে বিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানির ক্লাবে নাম লিখিয়েছে ইস্পাত খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম গ্রুপ। গ্রুপটি মূলত ইস্পাতপণ্য রড উৎপাদন করছে। গ্রুপটির বহরে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে নতুন ওয়্যার রডের কারখানা। কোম্পানি সূত্র ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের তথ্যে দেখা যায়, গত অর্থবছরে বিএসআরএম ১৩৭ কোটি ডলারের ২৩ লাখ ৮৭ হাজার টন পণ্য আমদানি করেছে।

১৯৫২ সালে যাত্রা শুরু করা এই গ্রুপের কারখানার সংখ্যা এখন ৮। বছরে রড উৎপাদনক্ষমতা ১৬ লাখ টন, বিলেট ১৮ লাখ টন। বাংলাদেশে উচ্চ শক্তির রড উৎপাদনে পথ দেখিয়েছে এ গ্রুপ। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পদ্মা সেতুসহ বিশ্বমানের অবকাঠামো নির্মাণে রড আমদানি করতে হয়নি বিএসআরএমের মতো গ্রুপের কারণে।

বিএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত অর্থবছরে গ্রুপের ওয়্যার রড কারখানা চালু হয়েছে। এতে কাঁচামাল আমদানি বেড়ে বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সরকারি প্রকল্পে রড সরবরাহ যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য উচ্চ দামে ঝুঁকি নিয়ে কাঁচামাল আমদানি বাড়িয়েছি আমরা।’

বসুন্ধরা গ্রুপ

আবাসন ব্যবসা দিয়ে শুরু হওয়া বসুন্ধরা গ্রুপের বিনিয়োগ রয়েছে শিল্পের অনেক খাতে। সিমেন্ট, আবাসন, কাগজ, বিটুমিন, এলপি গ্যাস, ইস্পাত, টিস্যু পেপার, নিত্যব্যবহার্য পণ্য প্রক্রিয়াজাত কারখানায় বিনিয়োগ রয়েছে গ্রুপটির।

বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি ক্লাবে গ্রুপটি এবারই প্রথম ঠাঁই পেয়েছে। গত অর্থবছরে ১২৯ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে গ্রুপটি। আমদানি পণ্যের পরিমাণ প্রায় ৬৫ লাখ টন। গ্রুপটি নতুন বিনিয়োগ করেছে বিটুমিন উৎপাদন খাতে।

বিলিয়ন ডলার ক্লাবের পথে

পাঁচটি শিল্প গ্রুপ ছাড়াও অনেক শিল্প গ্রুপের আমদানি অর্ধশত কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। বিলিয়ন ডলার আমদানি ক্লাবে ঢোকার অপেক্ষায় আছে আকিজ গ্রুপ, ওয়ালটন গ্রুপ, যমুনা গ্রুপ, চট্টগ্রামের এস আলম গ্রুপ ইত্যাদি।