যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ নেই, বিজিএমইএ সভাপতি

বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসানছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশনের (ইউএসআইটিসি) তদন্ত নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান।

বিজিএমইএ সভাপতি গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা মনে করি না, পোশাক রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে, এমন পাঁচটি দেশের বিষয়ে গত সোমবার ভার্চু৵য়াল মাধ্যমে শুনানির আয়োজন করে ইউএসআইটিসি। প্রায় চার ঘণ্টার ওই শুনানির বড় অংশজুড়ে বিভিন্ন প্রশ্নের মুখে পড়েন বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। ইউএসআইটিসির চেয়ারম্যান ডেভিড জোহানসন ও তাঁর তিন সহকর্মী বাংলাদেশে শ্রম অধিকার, শ্রম আইন, শ্রমিকদের উৎপাদনের তুলনামূলক দক্ষতা, মজুরিসহ নানা বিষয়ে জানতে চান। বাংলাদেশের পক্ষে বেশির ভাগ প্রশ্নেরই উত্তর দেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

তদন্তের কারণ কী, জানতে চাইলে ফারুক হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের মনে হচ্ছে, তৈরি পোশাকের কাঁচামাল কোথা থেকে আনা হয়, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) সেটি বুঝতে চায়। চীন থেকে তুলা আনার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আমরা শুনানিতে পরিষ্কার করে বলেছি, আমরা চীন থেকে তুলা আমদানি করি না।’

মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের (ইউএসটিআর) অনুরোধে বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানকে নিয়ে তদন্ত করছে ইউএসআইটিসি। কীভাবে এ দেশগুলো মার্কিন পোশাকশিল্পের বাজারের এত বড় অংশ দখল করে রেখেছে, তা তথ্যানুসন্ধান করে দেখবে কমিশন।

শ্রম অধিকারের কোনো ইস্যুতে বাংলাদেশ বড় প্রশ্নের মুখে পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বিজিএমইএ সভাপতি প্রথম আলোকে বলেন, শ্রম অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে অগ্রগতি অর্জন করছে। ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে যেকোনো কারখানার ২০ শতাংশ শ্রমিকের সম্মতির বাধ্যবাধকতা কমিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে।