সিলেট চেম্বারে প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে স্মারকলিপি
সিলেট চেম্বারের কমিটি বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বুধবার দুপুরে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী বরাবর এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে চেম্বারের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তাহমিন আহমদ। এ কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা না করেই চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি গোপনে চেম্বারের পর্ষদ গঠন করা হয়। তাতে তাহমিন আহমদ আবার সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
সিলেট চেম্বারের ইতিহাসে নির্বাচন ছাড়া প্রথমবারের মতো পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে বলে স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, গঠনতন্ত্রের ধারা ২০-এর (১) ও (২)-এর নির্বাচনী তফসিল প্রকাশ ও প্রচারের সব নির্দেশনা অমান্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আইন লঙ্ঘন করে গোপনে নির্বাচন দেখিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়, যা সদস্যদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।
অগঠনতান্ত্রিক উপায়ে কমিটি গঠনের বিষয়ে সম্প্রতি আপত্তি তুললে চেম্বারের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি, সহসভাপতিসহ পাঁচ পরিচালক পদত্যাগ করেছেন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে মৌখিকভাবে বলার পরও তাহমিন আহমদ পদত্যাগ না করায় তাঁর পদত্যাগের দাবিতে গত ২৫ আগস্ট ৪–৫ হাজার ব্যবসায়ী মানববন্ধন করেছেন বলে স্মারকলিপিতে বলা হয়।
স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন ব্যবসায়ী আমিরুজ্জামান চৌধুরী, নুরুল ইসলাম, শহীদ আহমদ চৌধুরী, মো. আবদুর রহমান রিপন, মো. সামসুল আলম, ফয়েজ আহমদ, নিয়াজ মো. আজিজুল করিম, মুনিম মল্লিক, মো. আবুল কালাম, আবদুল হাদী পাবেল, মো. লুৎফুর রহমান প্রমুখ। এ সময় তাঁরা স্মারকলিপিতে চেম্বারের অবৈধ নির্বাচন বাতিলের ঘোষণাসহ প্রশাসক নিয়োগের দাবি জানান। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা সভাপতি তাহমিন আহমদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের দাবি জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেম্বারের সভাপতি তাহমিন আহমদের সঙ্গে আজ মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন পাওয়া যায়। তবে সম্প্রতি তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মূলত একটা মহল চেম্বারকে অকার্যকর করতে চায়। এটা গোপনে করা কোনো কমিটি ছিল না।