দেশে ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ চায় যুক্তরাষ্ট্র

দেশে শ্রমিক সংগঠন বা ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও সহজ দেখতে চায় ঢাকা সফররত ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) প্রতিনিধিদল। একই সঙ্গে তারা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) প্রচলিত ট্রেড ইউনিয়ন করার সুযোগ দেওয়ার বিষয়েও জোর দিয়েছে।

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা বলেছেন সফররত ইউএসটিআর প্রতিনিধিদল। রাজধানীর উত্তরায় আজ সোমবার বিজিএমইএর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষে সভাপতি এস এম মান্নান আর ইউএসটিআরের নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া অঞ্চলের সহকারী ব্রেন্ডন লিঞ্চ।

বৈঠকে অংশ নেওয়া বিজিএমইএর একাধিক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের জন্য কারখানার শ্রমিকদের স্বাক্ষর বা সমর্থনের হার ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করার কথা বলেছে ইএসটিআরের প্রতিনিধিদল। একই সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের প্রক্রিয়া নমনীয় করতে বিজিএমইএর সহায়তা চেয়েছে তারা। শ্রম আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া কত দূর, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছে সফররত প্রতিনিধিদল। শ্রম অধিকার বিষয়ে আরও উন্নতির প্রয়োজন আছে বলেও মন্তব্য করে তারা।

ইউএসটিআরের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে বিজিএমইএ। তাতে বলা হয়, সংগঠনের সভাপতি এস এম মান্নান বাংলাদেশের পোশাকশিল্পে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা, শ্রমিকদের অধিকার এবং চলমান শ্রম আইন সংস্কারের বিষয়ে শিল্পের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিগুলো তুলে ধরেন।

বৈঠকে বিজিএমইএর নেতারা তৈরি পোশাকের ন্যায্য মূল্য প্রদান ও সামাজিক নিরীক্ষার জন্য একটি সমন্বিত আচরণবিধি (কোড অব কন্ডাক্ট) নিশ্চিত করতে মার্কিন সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দিন ও আবদুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আসিফ আশরাফ, শোভন ইসলাম, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, মো. আশিকুর রহমান, শামস মাহমুদ, নুসরাত বারী প্রমুখ।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে ইউএসটিআরের প্রতিনিধিদল। এতে তারা বলেছে, বাংলাদেশের শ্রম অধিকার পরিস্থিতির আরও উন্নয়ন চায় যুক্তরাষ্ট্র। এটি হলে বাংলাদেশে দেশটির বিনিয়োগ বাড়বে। এ দেশে শ্রম অধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের সফররত বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) দক্ষিণ ও সেন্ট্রাল এশিয়া অঞ্চলের একটি দল একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করেছে। এতে মোটাদাগে ১১টি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের কৌশল নিয়েই বৈঠকটি হয়।